বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইন ক্লাস শুরু করতে সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন। আদেশে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্ব-স্ব অনুষদের ডিনদের বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার জানিয়েছেন, অনলাইন ক্লাসের উপর শিক্ষকদের নিয়ে ইতোমধ্যে একটা প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশকিছু বিভাগ অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের হাতে ছোট মোবাইল ফোন রয়েছে, যার দ্বারা ক্লাস করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইউজিসি বা সরকার ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ প্রকল্প যদি কোনভাবে শুরু করতে পারে তাহলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে, তাহলে শিক্ষাটাকে আমরা একটা পর্যায়ে রাখতে পারবো।
এদিকে এ অফিস আদেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা করা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের এফপিই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনহাজ আবিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকে মেসে না থেকেও ৫০% মেস ভাড়া দিয়ে আসছি। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বেকার হয়ে বাড়িতে পড়ে আছে। অনেক শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার কথা থাকলেও তা কবে করা হবে জানিনা। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে ক্লাস শুরু করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, ক্লাস শুরু করা প্রয়োজন, চাকরির দিক থেকেও বয়স বেড়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তারও ঠিক নেই। যাদের সমস্যা তাদের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখা উচিত৷
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, মার্চের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। সীমিত আকারে অফিসগুলো রালু রাখা হয়েছে। হলগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র বিদেশি শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছেন এ মুহুর্তে। এতো লম্বা ছুটিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা জটে পড়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সেই জট কাটিয়ে উঠতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছি।
Discussion about this post