নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী উপায়ে কীভাবে কাজ আরও সহজে করা যায় সেটি নিয়ে গবেষণা চলছে। এই বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য এবং ভবিষ্যত কাজের ধরন, কর্মক্ষম জনশক্তি এবং কর্মক্ষেত্র নিয়ে গবেষণার করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মে ‘ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব’ চালু করা হয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে কর্মক্ষম জনশক্তি এবং যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা যাবে। পাশাপাশি ডাটা নির্ভর পলিসি তৈরির জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পলিসি তৈরি-এ দুটি বিষয়ের ওপরও জোর দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনডিপির এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ব্যুরোর পরিচালক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কান্নি উইনিরাজা। ইউএনডিপি ব্যাংকক রিজিওনাল হাব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতায় পরিচালিত এটুআই এর যৌথ আয়োজনে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
এটুআই থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপিতে জানানো হয়, প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী। এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের উন্নয়নের গতিতে প্রভাব ফেললেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ’আমরা আমাদের ভালো উদ্যোগগুলো সহযোগী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিনিময় করতে সদা প্রস্তুত। সবার সঙ্গে সহযোগিতা ও একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করার ক্ষেত্র উৎসাহের সঙ্গে অব্যাহত রাখবো।’
কান্নি উইনিরাজা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে, কাজের প্রকৃতি, পরিধি এবং কর্মক্ষেত্রের ধরন অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য ভবিষ্যতের বিভিন্ন কাজকে দ্রুত চিহ্নিত করা প্রয়োজন। পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ এবং টেকসই কাজগুলোকে সামনে এনে নতুন জব সেক্টর তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সম্মিলিত ইন্টেলিজেন্স টুল ব্যবহারের মাধ্যমে শিখন, পরীক্ষা ও নিরীক্ষণের কৌশল ব্যবহার করতে হবে এবং লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাবের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ইউএনডিপি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ’আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেখানে ছোট-বড় সব অংশীদার দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধিতে সমান সুযোগ পাবেন। প্রান্তিক নারী ও যুবসমাজের জন্য সুরক্ষামূলক করে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্র রূপান্তর প্রক্রিয়ায় আমরা সহযোগিতা করতে চাই। আমরা ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি খাতে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করবো।’
Discussion about this post