নিউজ ডেস্ক
করোনার বন্ধে তিন মাসের ভাড়া বাকি থাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ ও মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের আলিফ নামের একটি হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
আজ রবিবার (৫ জুলাই) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৩ জুলাই) খোরশেদকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ খোরশেদকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, রাজধানীর গ্রিন রোডের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ৫০ শিক্ষার্থী রাজাবাজারে আলিফ নামে ওই ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিন বেলার থাকা-খাওয়ার খরচসহ মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা দিতে হতো। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে সব শিক্ষার্থী তাদের কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, ছুটির মধ্যে আমাদের মালামাল ভাগাড়ে দেওয়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি সত্যি সত্যি কিছুই নাই। কক্ষের সব মালামাল সিটি করপোরেশনের গাড়িতে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এ ঘটনায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সোহান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন।
Discussion about this post