বিশেষ প্রতিবেদক
ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে সহজ ঋণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে টানতে ইউজিসি থেকে দুটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অন্যটি হলো অনলাইন শিক্ষায় অংশ নিতে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
গত ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দুটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ লাখ শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক সরাসরি পড়াশোনার বাইরে। অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে পারেনি অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত, তাই আমরা একটা অনিশ্চিত সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এ পরিস্থিতিতে আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে উপাচার্যদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ প্রদান ও যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি পজিটিভভাবে গ্রহণ করেছেন। আশাকরি দ্রুত এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’
গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গত ৩০ জুন ইউজিসিতে থেকে দুটি প্রস্তাব উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট প্রদান ও যাদের স্মার্টফোন নেই তাদের লোনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
ইউজিসি থেকে জানা গেছে, অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার প্রস্তাব জানান উপাচার্যরা। সেটি আমলে নেয় ইউজিসি। এছাড়াও অনলাইন ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্বিক পরিস্থিতি ও সক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে একটি জরিপ চালায় ইউজিসি।
Discussion about this post