অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলা যায় ক্যান্সার ও এইডস রোগীদের। কেমোথেরাপি চলাকালীন রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে প্রায় তলানিতে, এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ হলে তাদের বাঁচানোর সম্ভাবনা থাকে প্রায় শূন্যের কোটায়। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে প্রথমবারের মতো বিশেষ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে কানাডিয়ান ক্যান্সার ট্রায়াল গ্রুপ (সিজিটিসি)।
আইএমএম-১০১ নামের এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের নেতৃত্বে রয়েছেন ওট্টাওয়া হাসপাতালের সার্জিকাল অনকোলিস্ট এবং ওট্টাওয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক-অধ্যাপক ডা. রেবেকা আওয়ার।
এ গবেষক জানিয়েছেন, ক্যান্সার রোগীদের থেরাপি চলার সময়ই তাদের শরীরে করোনাপ্রতিরোধী এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। আপাতত নির্দিষ্ট ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ওট্টাওয়া হসপিটাল অ্যাকাডেমিক মেডিকেল ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আরও রয়েছে কানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি, বায়োক্যানআরএক্স, দ্য ওন্টারিও ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্চ, ওট্টাওয়া হসপিটাল ফাউন্ডেশন, অ্যাটজেন কানাডা/এনকেম্যাক্স ইমোডুলন থেরাপিউটিক্স। এ গবেষণায় বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ২৮ লাখ ডলার।
ডা. রেবেকা জানিয়েছেন, আইএমএম-১০১ হলো একধরনের ইমিউন স্টিমুলেটর। এটি তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে। কেমোথেরাপির সময় এ ধরনের ইমিউন স্টিমুলেটর অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করেন চিকিৎসকরা।
তিনি জানান, ক্যান্সার রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এতে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, তবে তার জন্য উপযোগী ব্যবস্থা রাখা হবে।
ওন্টারিও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর ডা. ল্যাজ়লো র্যাডভানি জানান, তিনটি পর্যায়ে ট্রায়াল হবে আইএমএম-১০১ ভ্যাকসিনের। পরবর্তীতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এটি ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
Discussion about this post