ক্রীড়া ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না সের্হিয়ো রামোস। পেনাল্টির দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা করিম বেনজেমার কাঁধে। রামোসের দুটো কাজই দারুণভাবে সামলালেন ফরাসি স্ট্রাইকার- অধিনায়কের দায়িত্বের সঙ্গে স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ। টানা তিন ম্যাচে তিন পেনাল্টি জালে জড়ানো রিয়ালের জয়রথও থাকলো সচল। ঘরের মাঠে দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে এবারের জয়টা ২-০ গোলের। এতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে শিরোপার আরও কাছে চলে গেছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
দুই অর্ধে দুটো গোল করেছে রিয়াল। বেনজেমার গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া স্বাগতিকরা দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মার্কো আসেনসিও জাল খুঁজে পেলে। এই জয়ে ৩৫ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ৮০। সমান ম্যাচে বার্সেলোনা পিছিয়ে থাকলো আগের ৪ পয়েন্টেই। বাকি থাকা তিন ম্যাচ দুটোতে জিতলেই ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর আবার লা লিগা ঘরে তুলবে ‘লস ব্লাঙ্কোস’।
স্তাদিও আলফ্রেদো ডি স্তেফানোয় রিয়ালের জয়টা সহজে আসেনি। গোল না পেলেও উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিয়েছে আলাভেস। ১১ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেনি তারা।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু করা রিয়াল টানা তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি পায় লেফটব্যাক ফেরলাঁ মাঁদি প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হলে। রামোসের অনুপস্থিতিতে স্পট কিক নিতে আসা বেনজেমা বল জালে জড়িয়ে এগিয়ে নেন স্বাগতিকদের।
আলাভেস ম্যাচের আগে অ্যাথলেতিক বিলবাও ও গেতাফের বিপক্ষেও পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছিল রিয়াল। অর্থাৎ, টানা তিন ম্যাচে তিন পেনাল্টি থেকে গোল করলো তারা। ২০০৬ সালের এপ্রিল-মে’র পর যা প্রথমবার দেখলো লা লিগা।
পিছিয়ে পড়া আলাভেস সমতায় ফেরার বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু ক্রসবারে লেগে কিংবা গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার দারুণ সেভে কিংবা পোস্ট ঘেঁষে বল বাইরে চলে যাওয়ায় ভাগ্য সহায় হয়নি সফরকারীদের। তবে বিরতির পর তাদের আশা শেষই হয়ে যায় আসেনসিওর গোলে।
আলাভেস বাধা পেরিয়ে করোনাভাইরাস বিরতির পর শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখলো রিয়াল। মাঠে ফেরার পর খেলা আট ম্যাচের সবক’টি জিতে শিরোপার আরও কাছে চলে গেছে জিনেদিন জিদানের দল।
Discussion about this post