নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারের দেয়া স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট বিতরণ বন্ধ আছে। আর কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট শিশুদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের পরিচালক মো. রুহুল আমিন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং শীর্ষক প্রকল্পের ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ১০ জুন দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এনজিও কর্মীদের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট এবং ১৬টি উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য সংগৃহীত ও মওজুদকৃত মিড ডে মিলের চাল, ভাল এবং ভোজ্য তেল সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরস্পরের সাথে সমন্বয় করে এনজিও কর্মীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাই, দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। এককালীন ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট মাথাপিছু শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে সমন্বয় করে এনজিও কর্মীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে বিস্কুট বিতরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী বিস্কুট বিতরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
Discussion about this post