ক্রীড়া ডেস্ক
সব পরিস্হিতি বিবেচনা করে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল কতৃপক্ষ। সে মোতাবেক হয়েছে প্লেয়ার ড্রাফটও। তবে অপেক্ষা ছিল সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের। এবার সেটিও মিলে গেছে। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে কড়া নিয়মকানুন।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সুরক্ষিত পরিবেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসরটি ১৮ই আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সকল স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের সিপিএল। তাই খেলোয়াড়, স্টাফ, অফিসিয়াল ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের চারবার ক’রোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে।
সিপিএল পুরোটাই হবে দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে। শুধুমাত্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে আয়োজিত হবে এবারের সিপিএল। ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি এবং কুইন্স পার্ক ওভাল স্টেডিয়ামে হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল সহ মোট ৩৩টি ম্যাচ।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর উদ্দেশে বিমানে চড়ার আগেই ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট আয়োজক এবং সম্পৃক্ত সবাইকে দুই সপ্তাহের জন্য সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে।
ত্রিনিদাদে পৌঁছানোর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ক’রোনা পরীক্ষা করতে হবে। সেখানে পৌঁছার পর আইসোলেশনে থাকতে হবে আরও দুই সপ্তাহ। পৌঁছানোর পর সবার কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ ও দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা হবে আরও দুবার।
ছয় দলের সবাই থাকবেন একটি হোটেলে। ধারনা করা হচ্ছে সর্বমোট ২৫০জন খেলোয়াড় ও স্টাফ হতে পারে। টিম হোটেলে খেলোয়াড় কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো অতিথি আসতে পারবে না। জীবাণুমুক্ত পরিবেশ হলেও প্রতি দলের ক্রিকেটারদের ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করা হবে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কিংবা চলাকালীন যদি কোনো গ্রুপের একজন পজিটিভ হন, পুরো গ্রুপকেই থাকবে হবে সেলফ-আইসোলেশনে।
Discussion about this post