ঢাবি প্রতিনিধি
টেক জায়ান্ট গুগলের পক্ষ থেকে চাকরির অফার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চার শিক্ষার্থী। তারা হলেন— শাহেদ শাহরিয়ার, তামিম আদ্দারী, নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা ও শারমীন মাহজাবিন রাখি। এদের মধ্যে শাহেদ শাহরিয়ার ও তামিম আদ্দারি ১৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ২০ ও ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শারমীন মাহজাবিন রাখি ও নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চারদিকে যখন হতাশার খবর তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো কিছু করছে, যা নিশ্চয়ই আনন্দের। আমরা পরখ করে বলতে পারি যে, হতাশার কিছু নেই, দেশবাসী জানুক যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের পড়াশোনা হয়। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু গুগলে না, আরও বিশ্বের ভালো ভালো জায়গায় অধিষ্ঠিত আছে। এটা নিশ্চয়ই আনন্দের সংবাদ।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আইসিপিসির সক্রিয় সদস্য ছিলেন শাহেদ শাহরিয়ার, নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা ও শারমীন মাহজাবিন রাখি। প্রোগ্রামিংয়ে সবাই অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেন।
জানা গেছে, গুগলে ডাক পাওয়া চার শিক্ষার্থীর মধ্যে শাহেদ শাহরিয়ার রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ভর্তি হন। মাধ্যমিক স্তরে তিনি রংপুর জেলা স্কুলে পড়েছেন। সম্প্রতি ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লেখেন, আমি এখন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে আছি। দেশটির গুগল নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল টিমে যোগদান করতে যাচ্ছি।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই গুগল থেকে সাক্ষাৎকারের একটি বার্তা পান। পরে আইসিপিসির প্রস্তুতির জন্য গুগল থেকে কিছু সময় চেয়ে নেন। পরের বছর ২৯ এপ্রিল অনলাইনে সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হন শাহেদ। একই বছর আরেকটি সরাসরি সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে গুগলে যোগদানের আমন্ত্রণ পান। সে সময় পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যোগদানের জন্য আরও ৫ মাস সময় বাড়িয়ে নেন। ফলে চলতি বছর গত ৬ এপ্রিল যোগদানের ফাইনাল তারিখ নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু করোনার কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তখন যোগদান করতে পারেননি।
অন্যদিকে তামিম আদ্দারি কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে তিনি ঢাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচে ভর্তি হন।
এ দু’জন ছাড়াও একই বিভাগের নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা এবং শারমীন মাহজাবিন রাখিও একাডেমিক জীবনে সফলতার অর্জন করেছেন। বিভাগ সূত্র জানায়, গুগল থেকে চাকরির অফার পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের মধ্যে রাখি ও রাঈদাই প্রথম। এর মধ্যে রাখি বিভাগ থেকে বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে রাঈদা দু’বারের অ্যাম্বিডিএক্সটারিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। একাডেমিক ফল ভাল করার স্বীকৃতিস্বরূপ ডিন অ্যাওয়ার্ডও লাভ করেছেন তিনি।
জানা যায়, রাঈদা রাজধানীর হলিক্রস গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। অন্যদিকে শারমীন মাহজাবিন রাখি মাধ্যমিক এ কে হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক আইডিয়াল কলেজের গণ্ডি পার করেন।
Discussion about this post