নিউজ ডেস্ক
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে কর্মহীন হয়ে বেশ বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষজন। তাদের এই দুর্ভোগ কমাতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ ‘ফ্রি সবজি বাজার’নিয়ে হাজির হন দেশের সর্বস্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফ্রি এ সবজি বাজার দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়।
এরকম ফ্রি সবজি বাজারের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সংসদে প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীরা ফ্রি সবজি বাজারের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং এ জন্য ছাত্রলীগসহ দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বাজারে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে পারছিলেননা, তখন সেই সবজি কিনে বিনা পয়সায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এ ফ্রি সবজি বাজার থেকে দেশের ৬৫ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চট্টগ্রামেও ছাত্রলীগসহ দলের নেতাকর্মীরা ফ্রী সবজি বাজার নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। চট্টগ্রামে প্রথম এ ফ্রী সবজি বাজারের উদ্যোগ নেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু। এরপর রাউজানে ফ্রী সবজি বাজারের উদ্যোগ নেন তরুন রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী।
আরশাদুল আলম বাচ্চু জানান, করোনায় লকডাউনের কারণে গ্রামে সাধারণ কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন৷ আবার শহরেরও অনেক দরিদ্র পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন।
ফ্রি সবজি বাজার চালুর কারণে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন। আবার শহরের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ও কর্মহীন মানুষ ফ্রি সবজি পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। এটিই ফ্রি সবজি বাজারের মুল উদ্দেশ্য। শুরুতে সবজি দেওয়া হলেও পরবর্তীতে মানুষের পুষ্টির কথা বিবেচনায় ডিমও দেওয়া হয় ফ্রি।
বাচ্চু ও ফারাজ করিমের এ ফ্রি সবজি বাজারের প্রশংসা করেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সরকারী বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সারা দেশের বিত্তবানরা ব্যক্তি উদ্যোগে এ ফ্রি সবজি বাজার চালু করেন নিজ নিজ এলাকায়।
আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, দলের একজন কর্মী হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে যতটুকু পারছি সহযোগিতা করছি। দেশে করোনা সংক্রমণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন তখন থেকেই চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার। ফ্রি সবজি বাজার কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রেখেছি।’
এদিকে ৭ জুন থেকে তিনি শুরু করেন ব্যাতিক্রমী এক ফ্রি চিকিৎসা সেবা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ থেকে ফ্রি চিকিৎসাসেবারও ব্যবস্থা করেছি। ৭ জুন থেকে আমরা করোনা আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছি। মূলত করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীর মৃদু লক্ষণ আছে, তাদের এ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
একই ভাবে ফারাজ করিম চৌধুরী ফ্রি সবজির পাশাপাশি রোজার পুরো মাস জুড়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সকলকে সেহেরি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্হাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করেন।
এ বিষয়ে ফারাজ করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার বাবা (সংসদ সদস্য এ বিএম ফজলে করিম চৌধুরী) সব সময় এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন, উনার সন্তান হিসেবে তো বটেই, এছাড়া দলের একজন কর্মী হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো।
Discussion about this post