নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ছোট ছোট এলাকা লকডাউনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এতেও সম্ভব না হলে যে বাড়িতে রোগী থাকবে, তা লকডাউন করে দেওয়া হবে। করোনার এলাকাভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কৌশলপত্রে এ ধরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি কবে শুরু হবে, তা নিশ্চিত নয়।
জানা গেছে, এ সংক্রান্ত মূল কাজ আটকে রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। আগে থেকে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা চিহ্নিত করে করোনা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের কথা চলছে। তবে মাঠ পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান বড় কোনো কর্মকাণ্ড নেই। অনেকে মনে করছেন, লকডাউন শুরু করলে হয়তো করোনাভাইরাস কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
গত ১২ জুলাই কৌশলপত্র ও আনুষঙ্গিক নির্দেশনা বিশেষজ্ঞরা চূড়ান্ত করলেও কোন কোন এলাকায় লকডাউন হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। কৌশলপত্র চূড়ান্ত করেছে ১৩ সদস্যের কারিগরি গ্রুপ। সেদিন থেকে এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে রয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খুব শিগগির কাজটি শুরু হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় লকডাউনে সহায়তা করব আমরা। কোথায় লকডাউন হবে, তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিতে হবে। ওয়ারীতে করতে বলেছে, সেখানে সহায়তা করছি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার কিংবা বাসার তালিকা দিতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে, চিহ্নিত করার দায়িত্ব তাদের। তখন সিটি করপোরেশন লকডাউন বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি জানান।
Discussion about this post