আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনকে আবারও শঙ্কায় ফেলেছে নভেল করোনাভাইরাস। কয়েক মাস থেকে করোনা প্রতিরোধে বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিলেও এবার দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে নতুন করে হানা দিয়েছে করোনা। প্রদেশটির রাজধানী উরুমচিতে গতকাল শনিবার ১৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছে ২৬৯ জন। এর আগে কয়েক মাসের মধ্যে গত বুধবার সেখানে করোনা শনাক্ত হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে উরুমচিতে ‘যুদ্ধকালীন অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
চীনা কর্মকর্তারা বলছেন, এরই মধ্যে উরুমচিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরটি থেকে যাওয়া-আসার সব ফ্লাইট ও পাতাল রেলসেবা স্থগিত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরো শহর এখন একটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মুখে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সব ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
প্রথম দিকে উরুমচিতে যেসব ভবনে করোনা শনাক্ত হয়, সেসব ভবন স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়। পরে পুরো শহরকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে জনসমাগম কমাতে বাসাবাড়িতে অতিথিদের আগমনে বিধিনিষেধ আনা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের শহরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বাইরে গেলেও করোনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে চীন করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেলেও বেশ কিছু এলাকায় স্বল্প পরিমাণে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।
চীনে করোনাভাইরাসের বেশিরভাগ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উহান শহরে গত বছরের শেষে।
এরপর বড় ধরনের সংক্রমণ দেখা গেছে বেইজিংয়ের একটি এলাকায় গত জুন মাসে। সেখানে ৩৩০ জন আক্রান্ত হলেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তবে চীনের দেওয়া মহামারিতে আক্রান্তদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চীন বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া, ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার মতো যখন যেটি দরকার হয়েছে, চীন দ্রুত সেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এখন পর্যন্ত চীনে মোট ৮৩ হাজার ৬৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৬৩৪ জনের। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৭৫ জন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
Discussion about this post