আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের দুইটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে। পিটিআই (প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া) ও ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পাশাপাশি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকার ট্রায়ালও শুরু হবে কিছু দিনের মধ্যেই।
সোমবার রাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড টিকার বিষয়ে বড়সড় সাফল্য দাবি করে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে। টিকায় সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে তাদের মনে হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষার আগে তা ঠিক করে নেওয়া হবে। এর মধ্যেই যাদের উপর টিকার প্রয়োগ হয়েছে সাধারণ প্যারাসিটামল খেলেই তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেটে যাবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল ঘোষণা করার পরেই বড় আকারে এর উৎপাদন কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বরিস জনসনের সরকার ইতিমধ্যেই ১০ কোটি টিকা তৈরির বরাত দিয়ে দিয়েছে। ভারতের যে সংস্থার সঙ্গে অক্সফোর্ড চুক্তিবদ্ধ, সেই সিরাম ইনস্টিটিউটও এপ্রিল মাসে জানিয়েছিল সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকেই যাতে বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় তার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
সোমবার অক্সফোর্ডের ঘোষণার পরে সিরাম ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা আদার পুনাওয়ালা বলেছেন, ”আমরা অত্যন্ত খুশি। ভারতে এই ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করার জন্য লাইসেন্সের আবেদন করেছি আমরা। লাইসেন্স পেলে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাস স্কেলে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে টিকার উৎপাদনও শুরু করে দেওয়া হবে।”
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন, পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদনে না যাওয়াই ভালো। কারণ, শেষ ধাপ পর্যন্ত টিকার কম্পোজিশনে সামান্য হলেও রদবদল প্রয়োজন হতে পারে। উৎপাদন সংস্থাগুলির সে কথা মাথায় রাখা উচিত।
অন্য দিকে বিজ্ঞানের জার্নাল ল্যানসেটে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন তাঁদের তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে। দ্রুত তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবেন। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ল শুরু হওয়ার পরে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
Discussion about this post