অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে শিশুসেবা ও প্রারম্ভিক শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী অন্তত ৪ কোটি শিশু স্কুল শুরুর আগে শৈশবকালীন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আজ(২২জুলাই) বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত নিউইয়র্ক থেকে ইউনিসেফ প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষণায় বলা হয়, ১৬৬টি দেশের মধ্যে অর্ধেকেরও কম দেশে অন্তত এক বছরের জন্য বিনামূল্যের প্রাক-প্রাথমিক কর্মসূচি রয়েছে। এটি আবার নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে মাত্র ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
ইউনিসেফের কোভিড-১৯ এর প্রভাব শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লকডাউনের কারণে অনেক বাবা-মাকে শিশুসেবা ও কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আর এ কারণে নারীদেরও চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। এছাড়াও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছোট শিশুদের পরিবারগুলোর জন্য সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে।
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, শিশুদের সমন্বিত পরিষেবা, মমতা, সুরক্ষা, উদ্দীপনা ও পুষ্টি সেবা প্রদানেও বড় ধরনের সংকটের মুখে রয়েছে। অনেক ছোট শিশু যারা বাড়িতেই ছিল, তারা তাদের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খেলা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তার সুযোগ পায় না। গবেষণায় মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে জোরদার করে বলা হয়। পাশাপাশি কর্মজীবী বাবা-মায়েদের জন্য প্রয়োজন অনুসারে নমনীয় বা সুবিধাজনক কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, “করোনা মহামারি কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় তা সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো উপায়ে শিশুদের পড়াশোনা শুরু করায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
তিনি বলেন, ‘শিশুসেবা এবং প্রারম্ভিক শৈশবকালীন শিক্ষা এমন একটি ভিত তৈরি করে, যার ওপর শিশুদের বিকাশের প্রতিটি বিষয় র্নিভর করে। বৈশ্বিক মহামারি সেই ভিতকে মারাত্মক হুমকিতে ফেলেছে।’
Discussion about this post