নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৫ সালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের জোরালো অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তখন ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন তারা। সেই আন্দোলন ঢাকায় শুরু হলেও পরে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
তখন ওই চক্র চিহ্নিত না হলেও পাঁচ বছর পর শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলনের সূত্র মিলিয়েছে বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চলাইট টিম। সঙ্গে ছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও শক্ত প্রমাণের অভাবে বরাবরই পাশ কাটিয়ে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। তবে এখন সেই ভর্তি পরীক্ষায় জড়িতদের নাম এক এক করে সামনে আসছে। এমন এক সময়ে এসে জালিয়াতির প্রমাণ মিলছে, যখন দুর্নীতির দায়ে একের পর এক পতন ঘটছে স্বাস্থ্যখাতের শীর্ষ কর্মর্তাদের।
মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের বিস্তারিত আগামীকাল শুক্রবার (২৪ জুলাই) চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে দেখানো হবে। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে রাত ৯ টায়। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করবে সিআইডি।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিমের আব্দুল্লাহ আল ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকেই বারবার ফাঁস হয়েছে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন। প্রেসের মেশিনম্যান সালাম এবং তার খালাতো ভাই জসীম- এ দু’জন মিলে দেশব্যাপী গড়ে তুলেছিলেন বৃহৎ এক চক্র।
যে চক্রের মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থী টাকার জোরে ভর্তি হয়েছে মেডিকেল কলেজগুলোয়। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে অজস্র প্রকৃত মেধাবীর। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে পুরো চক্রটিকে চিহ্নিত করেছি আমরা। আমাদের অনুসন্ধানের পর সিআইডির সাইবার পুলিশের হাতে ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ চক্রের চার সদস্য।
অধিদপ্তরের ক্ষমতাবান কর্তাদের মদদে প্রেস থেকে বহু বছর ধরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করতেন মেশিনম্যান আবদুস সালাম। তার খালাতো ভাই জসিমের কাজ ছিল সারা দেশে ফাঁসকৃত প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া। এ জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছিল তার। দেশব্যাপী চক্রটির প্রায় অর্ধশত সহযোগির খোঁজ পাওয়া গেছে। কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তারা।
বিভিন্ন সময়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও শক্ত প্রমাণের অভাবে বরাবরই পাশ কাটিয়ে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। এমন এক সময়ে এসে প্রমাণ মিললো, যখন দুর্নীতির দায়ে একের পর এক পতন ঘটছে স্বাস্থ্যখাতের শীর্ষ কর্তাদের।
Discussion about this post