অনলাইন ডেস্ক
ঘাড়, কাঁধ, পিঠ, কোমর এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যথার চিকিৎসায় দেশেই উদ্ভাবন করা হয়েছে পিইএমএফ যন্ত্র। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই ইলেকট্রো হেলথ নামের এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স ও টেকনলোজি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানি।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত যন্ত্রটি বেল্টের মতো পোশাকের ওপর ব্যবহার করা যায়। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পালস ইলেকট্রো ম্যাগনেটি ফিল্ড প্রযুক্তির মাধ্যমে সফলভাবে উদ্বোধনের পর যন্ত্রটি সুলভে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যেই বাইবিট নামে একটি অংশীদারবিহীন একটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি।
দেশে তৈরি এই স্বস্থ্যপ্রযুক্তির যন্ত্রটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া ইনসেন্টিভ কেয়ার অ্যান্ড পেইন মেডিসিন বিভাগে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবক দলের প্রধান খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানি বলেন, পিএমফ প্রযুক্তিতে একটি ইলেকট্রিক কয়েলের মধ্যে মৃদু বৈদ্যুতিক কারেন্ট পাল্স তৈরি হয়, যা বিনা বাধায় শরীরের গভীরে প্রবেশ করে ও আবেশের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে আবার মৃদু বিদ্যুৎ শক্তি তৈরি করে। এর ফলে ভিতরের সুক্ষ্ম রক্তনালীতে প্রবাহ বেড়ে যায়, শরীরের কোষগুলো অক্সিজেন ও অন্যান্য উপাদান পায় যা ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে।
যন্ত্রটি দিয়ে দৈনিক ৩-৪ ঘণ্টা ব্যবহারে কয়েক সপ্তাহেই দীর্ঘদিনের ব্যথাও ভালো হয় বলে জানান উদ্ভাবক।
প্রায় ৪০ বছর আগে সায়েন্স ল্যাবে প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক বিজ্ঞানীর চেয়ে এ দিকটায় আমরা এগিয়ে আছি। ব্যথা ছাড়াও এটি হাড় ক্ষয়, মাইগ্রেন অটিজম, আলঝেইমার এই স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
Discussion about this post