নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছার ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজের জন্য এক কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৫২টি স্কুল মেরামতের জন্য স্কুল প্রতি দুই লাখ টাকা করে মোট এক কোটি চার লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। আর রাজস্বখাত থেকে ১৮টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য বিদ্যালয় প্রতিটিকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলো হলে, ফুলসারা, সিংহঝুলি, গরীবপুর, জাহাঙ্গীরপুর, পাশাপোল, হাউলি, পলুয়া, শাহাজাদপুর, কাবিলপুর,৷ চৌগাছা মডেল, মুক্তদহ, ইছাপুর, নিউ আড়কান্দি, মাড়ুয়া, যাত্রাপুর, দেবিপুর, কমলাপুর, মাধবপুর,৷ গয়ড়া, আন্দারকোটা, কংশারীপুর, কাটগড়া কুঠি, বল্লভপুর, দক্ষিন বল্লভপুর, নারায়ণপুর, বড়খানপুর, বাদেখানপুর, চাঁদপাড়া, রঘুনাথপুর, বুড়িন্দীয়া, কুষ্টিয়া ফতেপুর, ভাদড়া, উজিরপুর, স্বর্পরাজপুর, নিয়ামতপুর, হাজীপুর, কোমরপুর, বকশিপুর, বহিলাপোতা, চুটারহুদা, জিওলগাড়ি, গদাধারপুর, দেবালয়, বাজে খড়িঞ্চা, বাঘারদাড়ি, পাঁচবাড়িয়া, মাংগীরপাড়া, কুলিয়া, দক্ষিন রামকৃষ্নপুর, ছোট কাকুড়িয়া ,বাটিকামারি ও আফরা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়।
রাজস্ব খাত থেকে ১৮টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য বিদ্যালয় প্রতি এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এরমধ্য রয়েছে মালিগাতি, আড়কান্দি, রাজাপুর, আজমতপুর, মাধবপুর উত্তরপাড়া, সুখপুকুরিয়া, বল্লভপুর, আন্দুলিয়া, চন্দ্রপাড়া, স্বরুপদাহ, চাঁদপুর, কোটালীপুর ও পাতিবিলা, হোগলডাঙ্গা, কোটালীপুর, চাঁদপুর, পাঁচনামনা ও হায়াতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া কাটগড়া সপ্রাবির জন্য ৬০ হাজার টাকা, স্বরুপদাহ সপ্রাবির জন্য ৭০ হাজার টাকা, মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩০ হাজার টাকা, পাতিবিলা মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৭০ হাজার টাকা, গয়ড়া মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা ও চন্দ্রপাড়া মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কাজ শেষ করার আগে কাউকে টাকা দেয়া হবে না। আমি শতভাগ কাজ করে নেয়ার জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা করছি। আশা করছি সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সততার সাথে মেরামত কাজ সমাপ্ত করেই বিল নিতে আসবেন। তিনি আরও বলেন এলজিইডির সাথে চুক্তি অনুযায়ী এসব ক্ষুদ্র মেরামতগুলোর জন্য বিনামূল্যে প্রাক্কলন তৈরি করে দেয়ার কথা। বরাদ্দের টাকা জুন মাসের শেষ দিকে আসায় এখনো বিদ্যালয়গুলোতে মেরামত কাজ চলছে।
Discussion about this post