বিনোদনডেস্ক
এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা পপি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছেন। সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার পর তার ফল পজিটিভ এসেছে।
করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে নিজের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুরে অবস্থান করছেন পপি। বর্তমানে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি না, নিজের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।’ পপির জ্বর, গলাব্যথা, কাশির পাশাপাশি দুদিন ধরে মৃদু শ্বাসকষ্টও দেখা দিয়েছে।
পপি বলেন, ‘আসলে শরীর যতটা না খারাপ, তার চেয়ে ভয়টা বেশি কাজ করে। করোনা শুধু ভাইরাস নয়, একটি আতঙ্কের নাম। যদিও আমি সব সময় মানসিকভাবে শক্ত। দুদিন ধরে কিছুটা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে ডাক্তার চিন্তা করতে বারণ করেছেন। আগামী সপ্তাহে আবারও করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।’
জুনের শেষের দিকে পপির প্রতিবেশী করোনায় আক্রান্ত হলে আতঙ্কের কথা জানান পপি। তার পর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেছেন। কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তিনি নিজেই জানেন না। তবে নিজের চেয়ে পরিবারের বয়স্ক মানুষের চিন্তায় উদ্বিগ্ন পপি।
পপি বলেন, ‘আব্বু-আম্মুসহ আমাদের পরিবারে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক কারণে আমাদের তুলনায় কম। যে কারণে ভয়টা এখন একটু বেশিই কাজ করছে। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে নিজের গ্রামের আশপাশের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন পপি। সেসব খবর উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’য় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র।
Discussion about this post