জীবনবৃত্তান্তের দৈর্ঘ্য
আপনি যে ধরনের চাকরি খুঁজছেন তার জন্য আপনার উত্তম এবং অধিক প্রাসংগিক যোগ্যতাগুলো তালিকাভুক্ত করতে একটি জীবন বৃত্তান্তের দৈর্ঘ্য যতটুকু প্রয়োজন সেই অনুযায়ী হওয়া উচিত।সাম্প্রতিক যারা স্নাতক পাশ করেছেন বা মাত্র কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন , তাদের উচিত হবে এক পৃষ্ঠার মধ্যে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা । যদি আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এগুলো তালিকাভুক্ত করতে দুই পৃষ্ঠার একটি জীবনবৃত্তান্ত প্রয়োজন হতে পারে । জীবনবৃত্তান্তের পরিসর বিবেচনা করার পরিবর্তে এটা নিশ্চিত করুন যে, আপনার উল্লেখিত তথ্য-বিবরণ আপনার অনুসন্ধানকৃত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। একটি জীবনবৃত্তান্তের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হলো এটি কাজটির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে আপনার যোগ্যতার বর্ণনা করে কিনা, দৈর্ঘ্য নয়।
কাগজের আকার
স্ট্যান্ডার্ড A4 অথবা (8½” x 11″) সাইজের অফসেট কাগজ বাবহার করুন। নিয়োগকারীরা শত শত জীবনবৃত্তান্ত পেয়ে থাকেন; তাই যদি আপনার কাগজের আকার ছোট হয় তবে এটি হারিয়ে যেতে পারে এবং যদি খুব বড় হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের ফাইলের মধ্যে রাখা ঝামেলাপূর্ণ হবে।
কাগজের রং
কভার লেটার এবং জীবনবৃত্তান্তের জন্য শুধু সাদা ও আইভরি গ্রহণযোগ্য রং হিসেবে বিবেচিত হয়।
কম্পিউটার এবং শব্দ প্রক্রিয়াকরণ
আপনার জীবনবৃত্তান্ত লেখার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এটি একটি কম্পিউটার বা ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখা।এর মানে আপনি তাত্ক্ষণিকভাবে প্রায় সবধরনের পরিবর্তন করতে এবং ডিস্কে বিভিন্ন খসড়া জীবনবৃত্তান্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এছাড়াও ওয়ার্ড প্রসেসিং সিস্টেম আপনাকে গুরুত্বারোপ করার জন্য কোন কিছু বোল্ড করা, বিভিন্ন ফন্ট বা বর্ণের ধরন এবং যাচাইযোগ্য মার্জিন সহ অনেক ধরনের অপশন দেবে।
জীবনবৃত্তান্ত ছাপানো
শ্রেষ্ঠমানের অফসেট প্রিন্টিং প্রসেস খুঁজুন এবং আপনার অনুলিপিগুলো ফটোকপি মেশিনে তৈরি করবেন না ।শুধু কর্মকর্তাদের কার্যালয় আপনার মেইল করা জীবনবৃত্তান্ত দেখতেপারেন; বাকিদের প্রত্যেকে এটির একটি কপি দেখতে পারেন। অনুলিপির অনুলিপিগুলো দ্রুত অস্পষ্ট হয়ে।
পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য
জীবনবৃত্তান্তে ভুল বিব্রতকর হতে পারে এবং এতে কোন সন্দেহ নেই যে ভুল থাকলে আপনি ব্যর্থ হবেন। সুতরাং যতটা সম্ভব সাবধানতার সাথে আপনার জীবনবৃত্তান্ত পর্যবেক্ষণ করুন এবং তারপর এটা করার জন্য আপনার একজন বন্ধুকে দিন ।নিশ্চিত করুন আপনার বানান এবং ব্যাকরণ নির্ভুল আছে । কম্পিউটার বা ওয়ার্ড-প্রসেসর সমূহের বিল্টইন বানান যাচাইকারী প্রোগ্রামের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করবেন না, সবধরনের ত্রুটিই ভুল বানান নয় এবং একটি বানান যাচাইকারী আপনার জীবনবৃত্তান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য বিকল্প নয় ।সঠিকভাবে শব্দও তখনও অনুচিতভাবে ব্যবহৃত হতে পারে ।মনে রাখুন যে একটি বানানচেকার “দুই (two)” জন্য “টু (to)” বা “দক্ষতা” জন্য “বিল” এর মত ত্রুটিগুলো চিন্হিত করতে পারেনা ।
বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার
আপনার জীবনবৃত্তান্তে দীর্ঘ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন। বরং এটি দ্রুত পাঠযোগ্য এবং সহজবোধ্য হবে।একজন পাঠককে আকর্ষণ করতে আপনি যে কোন কিছু করুন সেটা একটি সাক্ষাত্কার পেতে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে
সঙ্গতিপূর্ণ বিন্যাসকরণ
সহজ পাঠযোগ্য ফন্ট নির্বাচন করুন এবং শিরোনাম ও বুলেট পয়েন্ট এর জন্য সুসংগত বিন্যাস ব্যবহার করুন। উপরন্তু, আপনি বোল্ড বা বড় হাতের অক্ষরসহ প্রতিটি বিভাগের মধ্যে যেন সঙ্গতিপূর্ণ পর্যাপ্ত ফাঁক থাকে সেটা নিশ্চিত করুন। আপনার জীবনবৃত্তান্তের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরতে বোল্ড, ইটালিক্স এবং আন্ডারলাইন ব্যবহার করুন।যদি আপনি একটি অত্যন্ত সৃজনশীল অবস্থান না চান, সেই ক্ষেত্রে, চটকদার বিন্যাসকরণ বা রীতিবিরুদ্ধ ফন্ট অথবা গ্রাফিক্স দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সৃজনশীল জীবনবৃত্তান্ত থেকে দূরে থাকুন। আপনার জীবনবৃত্তান্তটি সহজ এবং দক্ষতাপূর্ণ রাখুন।
এড়িয়ে চলুন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার: বোল্ড / ইটালিক্স / আন্ডারলাইন
সবকিছুতে মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং কোন কিছুতেই মনোযোগ আকর্ষণ না করা মূলত একই ব্যাপার। আপনি যে নির্দিষ্ট অঞ্চলসমূহে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান সেটার উপর একটি কার্যকরী প্রভাব ফেলার জন্য বোল্ড, ইটালিক্স এবং আন্ডারলাইন ব্যবহার করে হাইলাইট করুন এবং আপনার হাইলাইটিং টেকনিকের মধ্যে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।
একটি জীবনবৃত্তান্ত পাঠানোর উত্তম মাধ্যম
একজন নিয়োগকর্তার কাছে আপনার জীবনবৃত্তান্ত পাঠানোর বেশ কয়েকটি উপায় আছে: ফ্যাক্স, ইমেইল, রেগুলারমেইল ও এক্সপ্রেস মেইল। এটি কোনভাবে পাঠানো হবে যখন এই সিদ্ধান্তটি নিতে হয় তখন নিয়োগকর্তা এর নির্দেশাবলী অনুসরণ করা সর্বদাই ভাল।যদি চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকে, তাহলে আপনার সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিন তারা কোন ফরম্যাট পছন্দ করেছেন এবং তারপর তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।অন্যান্য ক্ষেত্রে, এখানে কিছু জিনিস বিবেচনা করতে হয়: পোস্টাল মেইল এর সুবিধা হলো আপনার জীবনবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বিন্যস্ত ও গুণগত মানের কাগজে ছাপানো, তার শ্রেষ্ঠ রূপে দেখা হবে কি না তা আপনি নিশ্চিত করতে পারেন। ইমেইল এবং ফ্যাক্স এর সুবিধা হলো আপনার জীবনবৃত্তান্ত সাধারণত একই দিনে, তৎক্ষনাৎ দেখা যাবে। এক্সপ্রেস অথবা কুরিয়ার মেইল সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় সেহেতু বেশিরভাগ জীবনবৃত্তান্ত নিয়োগকর্তার ডেস্কে পৌছানোর আগেই সরিয়ে ফেলা হয় সুতরাং তারা আপনার অতিরিক্ত প্রচেষ্টা দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
Discussion about this post