মাছুম বিল্লাহ
দেশের প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত শ্রেণি বা অংশ হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যাদের সংখ্যা প্রায় তের লাখ। এই পরীক্ষার ফল শিক্ষার্থীদের বলে দেয় তারা উচ্চ শিক্ষায় যাবে, চাকরিতে যাবে নাকি প্রাতিষ্ঠানিক পড়া বাদ দিয়ে নিজে কিছু করবে। উচ্চ শিক্ষায় গেলে কোন দিকে যেতে পারবে তাও বলে দেয় এই পরীক্ষা। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে এই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।.
বিশ্বব্যাপী কোভিড-সংক্রমণের কারণে তাদের পরীক্ষা নিয়ে চরম এক অনিশ্চয়তায় আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ আপাত তেমন কিছু করার নেই। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। অর্থাৎ, এর মধ্যে তো পরীক্ষা হচ্ছে না, আর খোলার পর পরই তো সবকিছু গুছিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
যে কোনো ধরনের পরীক্ষাই পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এক ধরনের মানসিক চিন্তায় ফেলে দেয়। আর সেই পরীক্ষা যদি এভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে থাকে তাহলে কি যে মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হয়, তা ভুক্তভোগীরাই জানবে। তার সাথে তাদের শারীরিক অবস্থাও খারাপ হওয়ার কথা। তবে এখানে আমরা কাউকে দোষারোপ করতে পারছি না। ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের।
আমরা সর্বদাই এই সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট বা এককালীন চূড়ান্ত পরীক্ষার ওপর নির্ভর করব নাকি ফর্মেটিভ বা অবিরত মূল্যায়ন পদ্ধতির ওপরও একটি নির্দিষ্ট অংশ হলেও জোর দেবো, বিষয়টি ভাবতে হবে গভীরভাবে। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। তারা সবচেয়ে বেশি যান মালয়েশিয়ায়। তারপর যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মান, জাপান, কানাডা ও ভারত। এই ব্যাপারটিও থেমে গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তাব উঠেছে যে, সিলেবাস কমিয়ে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেয়া যায় কি না। এই ধরনের পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস কিংবা সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয় কিন্তু সার্বিক মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে ঘাটতির কথা বলে দেয়, অর্থাৎ সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয় না, যা ইতোমধ্যে অনেকেই বলেছেন। আমরা যদি শ্রেণিভিত্তিক, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক, টার্মভিত্তিক মূল্যায়নগুলোতে আগে থেকেই জোর দিতাম, চালু করতাম তাহলে কিন্তু এতটা দুশ্চিন্তার মধ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়কে পড়তে হতো না।
হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়নে অনেক সমস্যা আছে, সেগুলোকে কাটিয়ে ওঠা যায়। যেমন- যেসব শিক্ষার্থী একজন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে তারাই বেশি নম্বর পাবে, প্রতিষ্ঠানে পরিচিতরা বেশি নম্বর পাবে, শিক্ষার্থীরা ভর্তির পর প্রতিষ্ঠানের সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগে, তাই পড়াশুনায় মনোয়োগ দিতে তাদের বিলম্ব হয়, ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। কিন্তু এগুলোর সমাধানও তো আছে। যেমন ছয় মাসে যতটুকু পড়ানো হয়েছে তার ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে, পরীক্ষা নিবেন পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু শিক্ষক এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক। দুই তিন জন মিলে একটি উত্তরপত্র পরীক্ষণ করবেন। এই বিষয়গুলোর ওপর একটি মৌখিক পরীক্ষাও গ্রহণ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষার কথা এজন্য বললাম যে, আমার শিক্ষকতা জীবনে আমি ‘অ্যা মাদার ইন ম্যানভিল’ কিংবা ‘দ্যা সলিটারি রিপার’ পড়ানোর পর শিক্ষার্থীদের বলতাম, আগামী ক্লাসে আমি তোমাদের মৌখিক পরীক্ষা নেবো। ‘সলিটারি রিপারের’ ওপর যে কোনো ধরনের প্রশ্ন করব, তোমরা মুখে মুখে উত্তর দেবে। সেখান থেকে ছোট প্রশ্ন, উপত্যকার বর্ণনা, তোমার নিজের অনুভূতি, কবির সাথে কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, উপত্যকার কথা কল্পনা করতে পার কি না ইত্যাদি। প্রতিটির উত্তর ক্লাসে আলোচনা করে দিতাম। দেখতাম শিক্ষার্থীরা বেশ উৎসাহ ও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসত। তাদের মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তারাও বলত, ‘স্যার সেই যে বিষয়টি জানা হয়ে গেছে এত চমৎকারভাবে জেনেছি এবং পড়েছি, মনে হয় আর কখনো ভুলব না।’
আমরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে টার্মভিত্তিক পরীক্ষা, শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন এবং স্বল্পমাত্রায় হলেও মৌখিক পরীক্ষা চালু করতে পারি কি না ভেবে দেখতে হবে। তাতে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক, যোগাযোগ আরও নিকটে আসবে, উন্নত হবে। শিক্ষার্থীরাও কম চাপ অনুভব করবে একবারে বিশাল এক পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে। তাছাড়া তাদের জড়তা কেটে যাবে, পরীক্ষা ভীতি কেটে যাবে এবং তারা কথা বলার আর্ট শিখবে যেটি অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে না।
দেশের শিক্ষা নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা করেন তারা প্রায় দিনই এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে নেয়া যায় তা নিয়ে কিছু না কিছু পথ ও পন্থা বাতলে দিচ্ছেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে, পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে মতামত প্রকাশিত হচ্ছে। সরকারও বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। করোনা পরিস্থিতি যদি বুঝা যায় যে, নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে যাবে সে ক্ষেত্রে সরকার হয়ত টোয়েফেল কিংবা আইইএলটিএস-এর মতো সাথে সাথে উত্তর দেয়া যায় এমন ডিভাইসের মাধ্যমে একটি অংশ পরীক্ষা নিতে পারে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষায় বেশকিছু মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকবে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল/ ল্যাপটবে সেগুলো পাঠানো হবে। প্রশ্নগুলো এমনভাবে করা হবে যাতে সে প্রশ্নগুলো পড়ে সেখানে বসেই উত্তর দিতে পারে। সময় এতটুকু বরাদ্দ রাখতে হবে। ইচ্ছে করলেও সে বই কিংবা গাইড থেকে প্রশ্নের উত্তর বের করে সেখানে দিতে না পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে প্রশ্ন ব্লক হয়ে যাবে। তাই, প্রশ্ন পড়ে সাথে সাথে উত্তর দেবে। শিক্ষার্থীরা উত্তরের স্কোর সাথে সাথে দেখতে পারবে। বোর্ডের কেন্দ্রীয় মার্কিং ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নম্বর জমা থাকবে।
আর একটি অংশ হতে পারে মৌখিক পরীক্ষা। প্রতিটি বিষয়ের ওপর একটি নির্দিষ্ট নম্বরের জন্য একটি মৌখিক পরীক্ষাও নেয়া যেতে পারে। মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে বেসিক বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীর ধারণা আছে কিনা তা দেখা হবে। মৌখিক পরীক্ষাটাও মোবাইলে নেয়া হবে। উপজেলাভিত্তিক উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসন মিলে এটি আয়োজন করতে পারে। সেই নম্বরও একইভাবে বোর্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকবে। দুটো নম্বর যোগ করে রাখা হবে।
কোভিড সিচুয়েশন ভালো হলে অল্প নম্বরের পরীক্ষা যাতে এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় সে ধরনের প্রশ্ন তৈরি করে রাখা হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। পরে সব নম্বর একত্র করে ফল প্রকাশ করা যেতে পারে।
কিছু কিছু শিক্ষক প্রস্তাব করেছেন যে, যেহেতু পরীক্ষা নিতে বিলম্ব হচ্ছে, পরীক্ষা অনিশ্চিত তাই শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিনেন এবং জানেন তাই তারা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একটি নম্বর প্রদান করবেন যা প্রতিষ্ঠানপ্রধান বোর্ডে পাঠিয়ে দেবেন। এটি আসলে আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ শিক্ষার্থীদের তারা এখনও ভালোভাবে চিনেন না।
ক্যাডেট কলেজ বা এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয় জানেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে তা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে তথাকথিত নামকরা যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে একটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীসংখ্যা থাকে একশতের বেশি, কোথাও দুইশত-এরও বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারলেই যেন ধন্য, অভিভাবকরা ধন্য হন। এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কি পড়ান, কীভাবে পড়ান সেটি নিয়ে কারোর চিন্তা থাকে না। সেখানে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়ে, যাদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তারাই হয়ত কিছু শিক্ষার্থীদের চেনেন। তাও নাম জানা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীর অবস্থা জানা, পারিবারিক, মানসিক, শারীরিক অবস্থা জানা, তাদের ভেতরকার প্রতিভার খবর রাখা, প্রতিভাকে নাড়া দেয়া এসব বিষয় তো আমাদের দেশের শিক্ষকদের মধ্যে একমাত্র কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আর দেখা যায় না। অবস্থাটাই এরকম, শুধু শিক্ষকদের দোষ দিলেই হবে না। কাজেই তারা কীভাবে শিক্ষার্থীদের বিষয়ের ওপর মন্তব্য করবেন?
আমি ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করেছি। সেখানে ফর্ম টিচার বা শ্রেণিশিক্ষক ছিলাম। মোটামুটি ঘুরে ফিরে সবাইকেই এসব দায়িত্ব পালন করতে হয়, অন্তত যারা লেকচারার আর সহকারী অধ্যাপক। প্রতিদিন মূল ক্লাস শুরুর আগে ঐ শিক্ষক প্রস্তুতিমূলক অনেক বিষয় নিয়ে শ্রেণিতে আলোচনা করেন, সাধারন জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। টার্ম পরীক্ষার পরে প্রতিটি ক্যাডেটের ফল, আচার-আচরণ, কলেজের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, ভেতরকার প্রতিভা ইত্যাদি সবই উল্লেখ করতে হয়। ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শুধু ক্লাসেই চেনেন তা নয়, তারা হাউস টিউটর থাকেন বলে প্রতিদিনই হাউসে শিক্ষার্থীদের দেখছেন, কথা বলছেন। এই অবস্থা তো বাইরে নেই।
বর্তমানে গ্রেডিং পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এটি যখন ছিল না তখন বোর্ডে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি স্থান নির্ধারিত হতো। ক্যাডেট কলেজের ফর্ম টিচার এবং বিষয় শিক্ষকরা বলে দিতে পারতেন কোন ক্যাডেট বোর্ডে প্রথম হবে, কে দ্বিতীয় হবে ইত্যাদি।
ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট কিংবা অবিরত মূল্যায়ন যেটি শ্রেণিকক্ষে এবং প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা করে থাকেন বিষয়টি আমাদের দেশে তো নয়ই অনেক উন্নত দেশেও ভালোভাবে করা হয় না, যদিও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট বিষয়টি চালু থাকলে এই কোভিড-১৯ অবস্থায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে এত বেশি চিন্তিত থাকতে হতো না শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষকে। মূল্যায়নের একটি বিরাট অংশ শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের কাছে জানা থাকত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি জরিপে দেখা গেছে, পুরো পৃথিবীতে এখন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষকের কাছে এই অনলাইন শিক্ষাদান পদ্ধতি একেবারেই নতুন। পূর্বে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। ফলে যে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে দক্ষতার পরিচয় দেন তিনিও হয়ত অনলাইনে ভালোভাবে ক্লাস পরিচালনা করতে পারছেন না। আর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এই পরিস্থিতিই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে ক্লাস পরীক্ষা অনলাইনে পরিচালনা করতে। এই অবস্থা ও চাহিদার সাথে আমাদের সবাইকে খাপ খাওয়াতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও অনেকটাই অনলাইনে যাতে সম্পাদন করা যায় সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয়কে ভাবা উচিত। কিছু অংশ অফ-লাইনে করার জন্যও প্রস্তুতি এখনই শেষ করতে হবে।
লেখক : মাছুম বিল্লাহ, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স এসোসিয়েশেন (বেল্টা) এবং সাবেক ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
Discussion about this post