নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলোর নাম শ্রুতিমধুর নয় সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হবে। সম্প্রতি দেশের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬আগষ্ট) নাম পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সারাদেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু স্কুলের নাম ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সুশোভন নয়। যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এমন বিতর্কিত ও উদ্ভট নামধারী স্কুলগুলোর নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব স্কুলের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে এসব স্কুলের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
ইতোমধ্যে নীলফামারী জেলাধীন সদর উপজেলার মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মানুষ গড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে এবং নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে আলোরভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
তবে এসব বিদ্যালয়ের বাইরে ও আরো কিছু বিদ্যালয়ের নাম আছে যা শুনতে উদ্ভট বলে স্থানীয়ভাবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।এসব বিদ্যালয়ের নাম ও পরিবর্তন হওয়াটা জরুরী বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
যেসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা জরুরী তার তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
১. দুধখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাজারহাট, কুড়িগ্রাম জেলা।
২. হাড়িদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৩. নাকফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৪. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জুরাছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
৫. ছাগল খাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। লামা, বান্দরবন পার্বত্য জেলা।
৬. কুকুরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বেলাব, নরসিংদী জেলা।
৭. সোনাখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ জেলা।
৮. গাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। লালমোহন, ভোলা জেলা।
৯. মাথাফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তেতুলিয়া, পঞ্চগড়।
Discussion about this post