বিনোদনডেস্ক
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য এরই মধ্যে জমা পড়েছে চলচ্চিত্র। ২০১৯ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিকতাও শুরু হয়েছে। গঠন করা হয়েছে জুরি বোর্ড। সেখানে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে থাকছেন তিনি।
এরই মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে রিয়াজকে। এ নিয়ে রিয়াজ বলেন, ‘গত বুধবার (৫ আগস্ট) চিঠির মাধ্যেমে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের ছবি দেখার কাজ শুরু হচ্ছে।’
রিয়াজ বলেন, ‘এর আগে আমি নিজে পুরস্কার নিয়েছি। এখন আমাকে জুরি বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জন্য অবশ্যই আনন্দের, অনেক সম্মানজনক। আমি চেষ্টা করব নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লগিয়ে সুবিচারে অংশ নিতে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সচেষ্ট থাকব। আমি এই বোর্ডের সদস্য মাত্র। এখানে আমার অনেক সিনিয়র আছেন। নিজের অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় হবে এখান থেকে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ২৬ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা সদরের কমলাপুর মহল্লায় রিয়াজের জন্ম। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে ফরিদপুর শহরের সিএনবি স্টাফ কোয়ার্টার্সের চৌহদ্দিতে। বাবা জাইনুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, মা আরজুমান্দ আরা বেগম গৃহিণী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে রিয়াজ সবার ছোট।
১৯৯৫ সালে ‘বাংলার নায়ক’ ছবি দিয়ে ঢালিউডে যাত্রা করেন রিয়াজ। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মহম্মদ হান্নানের ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, হুমায়ূন আহমেদের ‘দুই দুয়ারী’, এস এ হক অলিকের ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ ও ‘হৃদয়ের কথা’, মতিউর রহমান পানুর ‘মনের মাঝে তুমি’, সুচন্দার ‘হাজার বছর ধরে’, তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও গাজী মাহবুবের ‘প্রেমের তাজমহল’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘মোল্লাবাড়ির বউ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
Discussion about this post