আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের সমুদ্রবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সেখানে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল খুলেছে ইরান। লেবাননে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জাভেদ ফিরুজনিয়া শনিবার ওই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
গত মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরে দাহ্য পদার্থের এক গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ দেড় শতাধিক নিহত এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ওই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের কারণ এখনও শতভাগ নিশ্চিত না হলেও সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, বন্দরের গোডাউনে প্রায় ছয় বছর ধরে মজুত রাখা বাজেয়াপ্ত ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বৈরুতে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল উদ্বোধন করে রাষ্ট্রদূত ফিরুজনিয়া বলেন, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বৈরুত বন্দর এলাকা পুনর্নির্মাণে সহযোগিতা করতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের রেডক্রিসেন্টের উপ-প্রধান ফরিদ মোরাদিয়ান জানান, তারা যে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল খুলেছেন তাতে জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, সাধারণ ওয়ার্ডসহ একটি আধুনিক হাসপাতালের সব উপকরণ রয়েছে।
ফলে বৈরুত বিস্ফোরণে আহত যেকোনো রোগীকে তারা সেবা দিতে পারবেন। ইরান বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বৈরুত বিস্ফোরণের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সেখানে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল খুলল।
ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের তাণ্ডবে বৈরুত শহরের প্রায় অর্ধেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে দেড়শ’ কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভব করা গেছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ইরান ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত বৈরুতের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ইতালি, ফ্রান্স, ইরাক, কুয়েত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানবিক ও মেডিকেল সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বৈরুতে সফর করেছেন। তিনি দু’টি বিমানে করে উদ্ধারকর্মীদের একটি দল ও মানবিক সহায়তা নিয়ে বৈরুতে পা রাখেন।
Discussion about this post