ক্রীড়া ডেস্ক
হারের সঙ্গী কেউ হতে চায় না, সবাই থাকতে চায় বিজয়ীর দলে। কিন্তু মাঠে তো আর সব সময় জেতা যায় না। সব সময় জেতা না গেলেও হারের সংখ্যায় একটা ভারসাম্য রাখতে চায় সবাই। অনেক সময় চাইলেও ভারসাম্যটা থাকে না। জয়ের চেয়ে পরাজয়ের সংখ্যা হয়ে যায় বেশি। এভাবে নাম উঠে যায় অস্বস্তির রেকর্ডে। বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ আর তামিম ইকবালের নাম আছে রেকর্ড বইয়ের এমনই এক অধ্যায়ে—যে অধ্যায়টি তাঁরা দেখতে খুব বেশি আগ্রহী হবেন না!
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৯৬টি। ৯৬ টি-টোয়েন্টির ৮৬টিতেই ছিলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৮৭ আর তামিম ছিলেন ৭৮টি। এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ হার দেখেছেন ৫৬ ম্যাচে। মুশফিক আর তামিম ৫২টিতে। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ হার দেখার তালিকায় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার আছেন সবার ওপরে। বাংলাদেশের কাছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ যে এখনো গোলকধাঁধা হয়ে আছে, এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ পরাজয়ের তালিকায় থাকলেও হয়তো অনেক ম্যাচ ছিল যেটিতে তাঁরা দুর্দান্ত খেলেছেন। কিন্তু দল জিততে পারেনি। দিন শেষে দল না জিততে পারলে ব্যক্তিগত লড়াইয়ের মূল্য যে সামান্যই। বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটারের পরই এ তালিকায় আছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। সাবেক এ জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ৬৬ ম্যাচের ৫০টিতেই দলের পরাজয় দেখেছেন। পাঁচে আছেন বাংলাদেশের আরেক তারকা—সাকিব আল হাসান। সাকিব যে ৭৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, হার দেখেছেন ৪৯টিতে।
টি-টোয়েন্টিতে এত পরাজয়ের সাক্ষী মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-তামিম-সাকিব অবশ্য সান্ত্বনা নিতে পারেন শিবনারায়ণ চন্দরপল-ব্রায়ান লারার কাছ থেকে। টেস্টে এ দুই ক্যারিবীয় কিংবদন্তির চেয়ে বেশি পরাজয় কেউ দেখেননি! ১৬৪ টেস্ট খেলা চন্দরপল দলের পরাজয় দেখেছেন ৭৭টিতে। তাঁর সতীর্থ ব্রায়ান লারা হার দেখেছেন ৬৩টিতে (১৩১ টেস্টে)। লারা-চন্দরপলের পরে এ তালিকায় আছেন শচীন টেন্ডুলকার, ২০০ টেস্টে হেরেছেন ৫৬টিতে। অ্যালিস্টার কুক হেরেছেন ৫৫টিতে, অ্যালেক স্টুয়ার্ট ৫৪টি, জিমি অ্যান্ডারসন হেরেছেন ৫৩ টেস্টে। এরপরই আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৬১ টেস্টের ৫০টিতেই তিনি দলের হার দেখেছেন।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি হার দেখেছেন টেন্ডুলকার। ২০০ ম্যাচে হেরেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি। এতে অবশ্য খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। টেন্ডুলকার খেলেছেনই ৪৬৩টি ওয়ানডে। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তাঁর অধিকারে। টেন্ডুলকারের পরেই আছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া, সাবেক শ্রীলঙ্কান ওপেনার ৪৪৫ ওয়ানডে খেলে হেরেছেন ১৯৩টিতে। মাহেলা জয়াবর্ধনে হেরেছেন ১৮৬ (৪৪৮ ম্যাচে), শহীদ আফ্রিদি ১৭০টিতে (৩৯৮ ম্যাচে)। এখনো পর্যন্ত ৬৫জন খেলোয়াড় আছেন যাঁরা ওয়ানডেতে ১০০ কিংবা তারও বেশি হার দেখেছেন।
Discussion about this post