সরকারি গণগ্রন্থাগার ৭১, নিবন্ধিত বেসরকারি গ্রন্থাগার ১৩৭৯। গ্রাম/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়ের গণগ্রন্থাগার পরিচালনায় অন্তত তিনজন কর্মী দরকার। কমিটির সদস্যদের চাঁদা বা সংগৃহীত অনুদানে গ্রন্থাগারগুলো পরিচালিত হয়। এসব গ্রন্থাগার টিকিয়ে রাখতে স্কুল-কলেজের মতো টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনা উচিত। প্রতিটি গ্রন্থাগার এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আদলে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার (১ জন), অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর (১ জন) ও পিয়ন (এমএলএসএস ১ জন) নিয়োগ দিয়ে সরকারি স্কেলে বেতন দেওয়া হলে গ্রন্থাগারগুলো টিকে যাবে। গণগ্রন্থাগার হবে ‘দিন বদলের হাতিয়ার’।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিবান্ধব সরকার মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিকের পদ সৃষ্টি করে দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরণ করেছে। সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটলগারের মাসিক বেতন—বেসিক ১৬,৮০০, ইনক্রিমেন্ট ৮৪০ (৫ শতাংশ), বাড়িভাড়া ১০০০ ও চিকিত্সাভাতা ৫০০ সাকুল্যে ১৭,৩৭৬ টাকা। অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটরের বেসিক ১০১৯১, ইনক্রিমেন্ট ৫০৯, বাড়িভাড়া ১০০০ ও চিকিত্সাভাতা ৫০০, সাকুল্যে ১১,১৩০ টাকা। পিয়ন (এমএলএসএস) বেসিক ৮৬৭৭, ইনক্রিমেন্ট ৪৩৩, বাড়িভাড়া ১০০০ ও চিকিত্সাভাতা ৫০০, সাকুল্যে ৯,৬৯৯ টাকা।
বাংলাদেশে বেসরকারি গ্রন্থাগারের ইতিহাস বেশ পুরনো। এখানে দেড় শতাধিক বছরের পুরানো গ্রন্থাগারও আছে। সেই তুলনায় গ্রন্থাগারের বিকাশ ঘটেনি। গণগ্রন্থাগার বা সাধারণ গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত। গণগ্রন্থাগারকে ‘পিপলস ইউনিভার্সিটি’ বা ‘গণবিশ্ববিদ্যালয়’ বলা যায়। তাই বেসরকারি গ্রন্থাগারের এমপিওর বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সভাপতি, বাংলাদেশ গ্রন্থসুহূদ সমিতি ও বেরাইদ গণপাঠাগার, বাড়ি ২২২, সড়ক ৬, ব্লক ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ১২২৯
Discussion about this post