অনলাইন ডেস্ক
দেশের মোবাইল টাওয়ারগুলোকে ওয়াইফাই টাওয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, একটা জায়গায় এটা পরীক্ষা করেছি, এটা কাজ করেছে। ৫০ এমবিপিএস পিক দিতে পারি আমরা, এটা যথেষ্ট। যে জায়গাতে আমি কেবল দিতে পারব না, সে জায়গাতে যদি আমি এটা দিতে পারি তাহলে কাজে লাগবে। যখন প্রয়োজন হবে আমরা এটা ব্যবহার করব।
এখন মোবাইল টাওয়ার থেকে ভয়েস কল ও ডেটা সেবা দুটোই মিলছে। এবার এই টাওয়ার দিয়ে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরীক্ষায় সফল হওয়ার কথা জানালেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুরে টাওয়ার হতে একই পরীক্ষা চালিয়েছে টেলিটক। সেখানে বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ১৪৬টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালুর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে ব্যান্ডউইডথ দেওয়া হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যেই পাবে এ সেবা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইডথ পাবে।
মোবাইল ফোনের টাওয়ার ব্যবহার করে ওয়াইফাই দিতে আগ্রহী টেলিকম কোম্পানিগুলো। তবে কোম্পানিগুলো মেট্রোপলিটন এলাকায় এই প্রযুক্তি চালুর সুযোগ চায়। দেশে এখন চারটি টেলিকম কোম্পানির মোবাইল টাওয়ার প্রায় ৩৫ হাজার।
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেছেন, যদি ওয়াইফাই দিতে চাই, তাহলে আমাদের শুরুটা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়ায়। কারণ, এখান থেকে বেশিরভাগ কাস্টমারের ওয়াইফাই ডিমান্ড বেশি।
তিনি জানান পলিসিতে বলা আছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামে অপারেটররা ওয়াইফাই দিতে পারবে না। ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে আলাদা করে পলিসি করে আমাদের সে সুযোগটা দেয়া হোক, যাতে আমরা ওয়াইফাইটা মানুষের দরবারে নিয়ে যেতে পারি।
Discussion about this post