অনলাইন ডেস্ক
প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার পরীক্ষায় সফল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের কোভিড-১৯য়ের ভ্যাকসিন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক ফাইজার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা মানবদেহে এই ভাইরাসের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন। তারা এ সম্পর্কে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন সে অনুযায়ীই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করেছে ফাইজারের ভ্যাকসিন।
যারা এই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের দেহে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এমন ৩৬ জন প্রাপ্ত বয়স্কের দেহে এটি বিপজ্জনক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করেনি।
তবে এরা সামান্য মাথা ধরা এবং ক্লান্তি অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে ১৩টি ভ্যাকসিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দৌঁড়ে এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। এরপরেই ভ্যাকসিন নিয়ে আশা জাগালো ফাইজার। তবে এর মধ্যেই নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন এনে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। যদিও তাদের এই ভ্যাকসিন নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েই গেছে।
গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দেয় রাশিয়া। মস্কো বলছে, তারা স্পুটনিক-৫ নামের একটি কার্যকর এবং নিরাপদ ভ্যাকসিনের নিবন্ধন দিয়েছে।
তৃতীয় ধাপের ব্যাপক পরিসরের সুরক্ষা পরীক্ষার ফল আসার আগেই এই ভ্যাকসিনটি গণ-উৎপাদন এবং ধাপে ধাপে গণহারে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ফলে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই।
এদিকে গত মাসেই ফাইজার জানিয়েছে যে, আগামী অক্টোবরের মধ্যেই ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনটির জন্য অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তারা। সম্প্রতি ৬০ হাজার মানুষের দেহে প্রয়োগ শুরু করার মাধ্যমে চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে ফাইজার-বায়োএনটেক।
গত ৭ জুলাই টাইম অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বোরলা বলেন, তার বিশ্বাস অক্টোবরের মধ্যেই হয়তো ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার ও বায়োএনটেক এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেেছে। এতে প্রায় দুইশো কোটি ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করবে তারা। করোনার বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ নিতে হবে প্রত্যেককে। রয়টার্স বলছে, এর দাম পড়বে ৩৯ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা)।
Discussion about this post