আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছে মার্কিন পোস্টাল সার্ভিস (ইউএসপিএস)। তারা আশঙ্কা জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন (৩ নভেম্বর) গণনার জন্য ডাকযোগে পাঠানো সবগুলো ব্যালট সময়মতো নাও পৌঁছাতে পারে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পোস্টাল সার্ভিসের পাঠানো চিঠিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মদিবসে নির্বাচন হওয়ার কারণে অনেক মানুষ চাকুরি হারাবার ভয়ে সশরীরে ভোট দিতে পারেন না৷ কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়৷ এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর সুযোগ রয়েছে৷ এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ সম্প্রতি অ্যাক্সিওস/সার্ভে মানকির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশ রিপাবলিকান সশরীরে আর ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মেল ইন পদ্ধতিতে ভোট দিতে চান। কর্তৃপক্ষ সব ভোটারকে ব্যালট পাঠালে সেই ব্যবস্থাকে ‘মেল ইন’ বলা হয়৷ কোনও ভোটার বিশেষ কারণ দেখিয়ে ডাকযোগে ভোটের আবেদন জানালে সেটিকে ‘অ্যাবসেন্টি ব্যালট’ বলা হয়৷ ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। ডাক বিভাগ বিশাল সংখ্যায় পোস্টাল ব্যালট সামলাতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন তিনি৷ এমনকি নভেম্বরের নির্বাচনে তার পরাজয় হলে সেই দায় আংশিকভাবে ডাকযোগে ব্যালটের উপর চাপানোর হুমকি দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প।
এমন অবস্থায় ডাকযোগে ভোটগ্রহণ নিয়ে সতর্ক করেছে খোদ পোস্টাল সার্ভিসই। গত মাসে ১৫টি অঙ্গরাজ্যে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার আগে আগে সবগুলো ব্যালট পৌঁছাবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না তারা। বৃহস্পতিবার পোস্টাল সার্ভিসের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিটি প্রকাশ করেছে পেনসিলভানিয়া। সেখানকার বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে মেল ইন ব্যালট পাঠানো যাবে। তবে চিঠিতে পোস্টাল সার্ভিস লিখেছে অঙ্গরাজ্যটিতে ডেলিভারি সি্স্টেমে যে ধরনের কড়াকড়ি আছে, তাতে ডেডলাইন অনুযায়ী ব্যালট নাও পৌঁছাতে পারে।
সমালোচকদের অভিযোগ, পোস্টাল সার্ভিসের নতুন প্রধান ট্রাম্পেরই লোক। তিনিই ইচ্ছে করে ডেলিভারির গতি ধীর করেছেন।
Discussion about this post