আবুল মোমেন
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যেন অভিন্ন সত্তা। প্রাণোচ্ছল প্রকৃতির জনবহুল এই দেশের সহজ সরল মানুষের মাঝখান থেকেই উঠে এসেছিলেন তিনি। এই মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর নাড়ির। আশৈশব লালিত স্বপ্ন তাঁর আজীবনের কাজকে বরাবর মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ রেখেছিল। তাঁর স্বপ্ন ও কর্ম, তাঁর ভাষণ ও সংগঠন, ত্যাগের মহিমা ও সাহসের দৃষ্টান্ত তাঁকে জনগণের মানসপটে কেবলই ভাস্বর করে তুলেছে। এমন অমোঘ নেতৃত্বের প্রেরণা ও নির্দেশনা জাগ্রত জনতাকে উদ্দীপ্ত করেছে ইতিহাসের ক্যানভাসে বাংলাদেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তুলতে।
পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে দুই দফা প্রাণে মারতে চেয়েছিল—একবার ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়, আরেকবার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আত্মবিশ্বাস, সাহস, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং ন্যায়পরায়ণ আত্মমর্যাদা ষড়যন্ত্রকারীদের হীন উদ্দেশ্য সাধনের পথে প্রবল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের আপসের পথে আসতে হয়েছিল দুবারই। কিন্তু হায়, নিজ দেশে, তাঁরই হাতে গড়া দেশে কিছু মীর জাফর ঘাতকের হাতে তাঁকে প্রাণ দিতে হলো।
বঙ্গবন্ধু যেন এক ট্র্যাজিক-নাট্যের অমর নায়ক। মৃত্যুতে তাঁর বিনাশ নেই, তিনি অবিনশ্বর। পৃথিবীর ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান এক অবিস্মরণীয় দেশনায়ক, যাঁকে নিয়ে কাব্য ও সংগীত রচিত হয়েছে অজস্র। উচ্চশিক্ষিত নাগরিক কবি থেকে গ্রাম্য জনপদের দীন গায়েনের কণ্ঠে ও কলমে তাঁর জীবনকালে যেমন, তেমনি মৃত্যুর পরেও অনুপ্রাণিত পঙ্ক্তি রচিত ও গীত হয়ে চলেছে। এমনটা পৃথিবীতে আর কোনোকালে দেখা যায়নি।
২.
তাঁর মৃত্যুর কালো অধ্যায় ছাপিয়ে আজ শতবর্ষের গৌরবের আলোয় যে মুজিবের প্রতিকৃতি ভেসে ওঠে তিনি বঙ্গবন্ধু, যাঁর অপর সত্তা এই বাংলাদেশ। শতবর্ষের এই মৃত্যুবার্ষিকীতে দুটি বিষয় যেন প্রধান হয়ে ওঠে। ১. গ্রামবাংলার এক গৃহস্থ পরিবারের সন্তান কীভাবে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন এবং শতবর্ষ পরেও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকলেন? ২. যে দেশটির ধাত্রী তিনি, সেই বাংলাদেশ তাঁর অবর্তমানে কোন পথে?
আমরা লক্ষ করি, স্কুলজীবন থেকেই বালক মুজিব গরিব সহপাঠী এবং বঞ্চিত-দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। স্কুলের উঁচু ক্লাসে উঠতে উঠতে তিনি যেমন আরেকটু বড় পরিসরে পাড়া-প্রতিবেশীর দুঃসময়ে সাহায্য নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন, তেমনি স্কুলের ছাত্রাবাসের ফুটো ছাদ মেরামতের টাকা চাইতে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী, দুই শীর্ষ বাঙালি মুসলিম রাজনীতিবিদ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও নিজের ভাবীকালের রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে দাবি পেশ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। বালকের এই ভূমিকার দুটি দিক—একদিকে দরদি মনের জনসেবার ব্যগ্রতা, অন্যদিকে অধিকার আদায়ের ন্যায়বোধ ও দৃপ্ত সাহস। দুটি বৈশিষ্ট্যই তাঁর ব্যক্তিত্বকে জনমুখী এবং কর্মমুখী করে তুলেছিল। এটা তিনি সারা জীবন বজায় রেখেছিলেন।
স্বভাবতই কর্মের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিলেন রাজনীতি। তাঁর মনে হলো উপমহাদেশের মুসলমানদের উন্নতি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে তাদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টি সময়ের দাবি। জনদরদি কর্মীটি মনপ্রাণ ঢেলে পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হলেন। কাজের মাধ্যমেই উপলব্ধি করলেন সংগঠনের গুরুত্ব, যোগ দিলেন মুসলিম লীগে।
সেই স্বপ্নের পাকিস্তান সৃষ্টির পরে কী ঘটল? তাঁর স্বপ্ন, তাঁর রাজনীতির দিক পরিবর্তন হলো কেন? তরুণ মুজিব দেখলেন, পাকিস্তানের স্রষ্টা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ কোনো নেতাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর প্রাপ্য গুরুত্ব ও মর্যাদার প্রতি আন্তরিক নন। তাঁর স্বপ্নে চিড় ধরল, রাজনৈতিক চেতনা হোঁচট খেল। বুঝতে বাকি রইল না নবাবজাদা-পীরজাদা, জোতদার-জমিদার আর আমলা-ব্যবসায়ীর এ দল সাধারণ জনগণের স্বার্থ দেখবে না। ১৯৪৯ সালে ধনিক গোষ্ঠীর কবজায় থাকা দল ত্যাগ করে তিনি উদ্যাগী হলেন আওয়াম বা জনগণের মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায়। কিন্তু এ দল প্রতিষ্ঠাতেই লক্ষ্যপূরণ হলো না। তত দিনে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে প্রথমে শিক্ষিত এবং পরে সব বাংলাভাষীর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।
বায়ান্নর ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলির পরে তিনি বুঝলেন, রাজনীতির মূল ইস্যু আর ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়গত নয়, এখন ইস্যু ভাষা ও সংস্কৃতি। তাঁর মনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজ তখনই অঙ্কুরিত হয়েছে। সংগঠনের মুসলিম পরিচয় গুরুত্ব হারাল, জোর পড়ল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর। এই পর্যায়ে আমরা তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনায় দূরদর্শিতা ও গভীরতা দেখতে পাই, যা তাঁকে কর্মী ও সংগঠক থেকে ক্রমে নেতায় উন্নীত করেছে।
৩.
পাকিস্তান সরকারের বাঙালিবিদ্বেষী চক্রান্ত, প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি, তাতে ধর্মের অপব্যবহার পরিণত মুজিবকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করল। তবে সংবেদনশীল তরুণ আগেই বুঝেছিলেন শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা যাবে না। বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র চাই।
অচিরেই স্পষ্ট হলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের তিনিই পথনির্দেশক। তাঁর চেয়ে অভিজ্ঞ, শিক্ষিত, পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের কেউ নেতা হয়ে, কেউ–বা ক্ষমতায় বসে তৃপ্ত হয়েছেন। তাঁদের পিছুটান, দোলাচলে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে শেখ মুজিব যেন নিজের কাঁধেই জাতির দায় তুলে নিয়েছিলেন। ছয় দফাকে ঘিরে তাঁর ও তাঁর দলের নেতা–কর্মীদের ওপর পাকিস্তান সরকারের দমন–পীড়ন-নির্যাতন যে অটল সাহস, আত্মত্যাগ ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে শেখ মুজিব মোকাবিলা করেছেন, তাতে তিনি সমগ্র জাতির মন জয় করে নেন। তাঁর পেছনে আপামর জনগণ তখন শামিল।
জাতি তাঁকে শ্রদ্ধায়–প্রীতিতে বঙ্গবন্ধু নামে ডাকল, তাঁকেই মানল নেতা হিসেবে, অনুপস্থিত থেকেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাও ছিলেন তিনিই। তাই তিনি জাতির পিতা। শতবর্ষ পরেও তিনি প্রাসঙ্গিক। কারণ, তাঁর স্বপ্ন নিছক স্বাধীনতা ছিল না, স্বাধীনতারও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল—একটি গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল জাতি গঠন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তিনি নিজে সে কাজের সময় পাননি ঘাতকদের নিষ্ঠুর হামলার শিকার হয়ে।
তবে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে শাসনভার গ্রহণ করে সময় ক্ষেপণ করেননি। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল দলিল সংবিধান উপহার দিলেন জাতিকে। হাত দিলেন তেমন রাষ্ট্রের উপযুক্ত নাগরিক তৈরির উপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডাগুলোর দিকে নজর দিতে ভোলেননি। কিন্তু খেয়াল করেননি যে দেশ বিদেশি–বিভাষী হানাদার বাহিনীর দখল থেকে মুক্ত হলেও সেই পাকিস্তানি রাজনীতির অনুগত, সেই প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রের অনুচর, দখলদার বাহিনীর সহযোগী অনেকেই দেশের আনাচে-কানাচে আত্মগোপনে সক্রিয় তখনো। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন তিনি।
৪.
তাঁর মৃত্যুর পরে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো ক্ষমতার পালাবদলে—পাকিস্তানপন্থী মোশতাক ক্ষমতার শীর্ষে বসলেন। তাঁর পরে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ রাজনীতি কুক্ষিগত করে সর্বনাশের চূড়ান্ত করলেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ও সমাজে পরিবর্তন আনার আগেই এই প্রত্যাঘাত। তখন থেকে ক্ষমতা দখলকারীদের মদদে রাজনীতিতে ধর্ম প্রাধান্য পেতে শুরু করল, অর্থ ও সুযোগ–সুবিধার টোপ আনুগত্যের বা তা পরিবর্তনের নির্ণায়ক হয়ে উঠল, প্রশাসন ও নীতি নির্ধারণে সামরিক শক্তির গুরুত্ব বাড়তে থাকল। রাজনীতি থেকে নীতি, আদর্শ, জনস্বার্থ যেমন হটে গেল, তেমনি তাতে জাঁকিয়ে বসল ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের নানা বিবেচনা। জনগণ, রাজনৈতিক দল, সমাজের অন্যান্য সক্রিয় অংশের ক্ষমতা, গুরুত্ব, শাসনকাজে অংশীদারত্ব কমতে থাকল।
সত্যি হলো, অনেক রকম আপস করে ও ছাড় দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরতে হলো। এ পরিণতির জন্য অবশ্য এককভাবে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা যাবে না। বড় দায় সমাজের। স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছিল এই সমাজ। স্বাধীন চিন্তার ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা খুইয়ে বসেছিল। সমাজে যখন প্রতিক্রিয়া ও পশ্চাৎপদ চিন্তার নানামুখী আঘাত এসেছে, তখন তাকে যথাযোগ্য শক্তিতে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়নি। রাজনীতির আগেই সমাজ পিছু হটেছে। তার বিশ্ববিদ্যালয়, তার গণমাধ্যম, তার অন্যান্য স্বাধীন পেশাজীবী এবং স্বভাবত স্বতন্ত্র সৃজনশীল ব্যক্তিরা যেন বিনা প্রতিরোধে এই অবক্ষয় তাকিয়ে দেখেছেন, কেউবা তাতে শামিল হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ফিরল বটে ক্ষমতায়, কিন্তু এই বাস্তবতায় সে যেন অন্য আওয়ামী লীগ। নয়তো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ক্ষমতাই বাড়ে, রাজনীতি কালোটাকার মালিকদেরই দখলে যায়, নিম্ন পর্যায়ে ক্ষমতা ঘিরে আখের গোছানো চলতেই থাকে?
৫.
তবে এটুকুতেই বর্তমান বাংলাদেশের কথা শেষ হয় না। শেখ হাসিনা বাবার মতোই জনদরদি, সাহসী, কর্মী মানুষ। সমাজ পরিবর্তন নিয়ে মাথা না কুটে দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নে এবং জনগণের বৈষয়িক উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সত্যিই তাঁর নেতৃত্বে সামাজিক সূচকগুলোতে চমকপ্রদ সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মাথাপিছু আয় ও গড় আয়ু অনেক বেড়েছে, কৃষিতে খাদ্যশস্য ছাড়াও উৎপাদনে বৈচিত্র্য বেড়েছে এবং দেশ বিশ্বপর্যায়ে গণ্য হচ্ছে, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশ আর দারিদ্র, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দৃষ্টান্ত নয়। বরং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অগ্রগতির এক চমক ও বিস্ময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তবে এই উন্নয়ন তত দিন টেকসই হবে না, যত দিন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হচ্ছে। সেটি গণতান্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্র। এখনকার মানহীন শিক্ষা বস্তুত অকার্যকর, করোনা স্বাস্থ্য খাতের চরম দুর্বলতা তুলে ধরেছে, অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার আনুকূল্যে দুর্নীতি ও ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। সংসদ আজ অর্থহীন অপচয়ের নামান্তর, শাসনব্যবস্থা ভারসাম্য ও জবাবদিহি এড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির ফাঁদে আটকে পড়েছে, জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতা দুটোই হ্রাস পেয়েছে।
আজ বলব শতবর্ষের আলো আর মৃত্যুদিনের বেদনার ছোঁয়ায় জাতির চিত্ত প্রস্ফুটিত হোক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রূপায়ণের অঙ্গীকারে। আজ শপথ নেওয়ার দিন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং জাতির প্রতি অঙ্গীকার পূরণে আমরা লক্ষ্যচ্যুত হব না। তাহলে অন্তত পরপারে হলেও তাঁর অসমাপ্ত জীবনের অসম্পূর্ণ স্বপ্নের খেদ দূর হবে; জাতির পিতার দীর্ঘশ্বাস মুছে গিয়ে চিরায়ত হাস্যোজ্জ্বল মুখটিই সবার মানসপটে স্থায়ীভাবে গাঁথা থাকবে। তাঁর অসমাপ্ত জীবনের বিজয়রথ শতবর্ষেও থাকবে চলমান।
Discussion about this post