নিউজ ডেস্ক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিত্সায় প্লাজমা সেন্টার চালু হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। প্রতিদিন ২৫ জন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।
যারা প্লাজমা নেবেন, তাদের সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এখানে প্লাজমা সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
গতকাল শনিবার ধানমন্ডিতে হাসপাতালে এই প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক এম এ খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। রোগ ভালো হলেও কাউকে খুব দুর্বল করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা প্রদানের বিষয়টি আরো অনেক প্রচার হওয়া দরকার। প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার।
এম এ খান বলেন, প্লাজমা থেরাপি কোন সময়ে কাকে দিতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারলে উত্তম। কারণ সুনির্দিষ্ট ভ্যাক্সিন আসার আগ পর্যন্ত এটা খুব কার্যকরী চিকিত্সা পদ্ধতি।
অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় গুরুত্বারোপ করে এম এ খান বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো ডোনারদের কারো কারো নমুনায় অ্যান্টিবডি কম থাকে। যারা অধিকমাত্রায় আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ বেশি থাকে, তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি বেশি থাকে।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, অ্যান্টিবডি পরিমাপ করা। কিছু কিছু জায়গায় অ্যান্টিবডি টেস্ট হচ্ছে। প্লাজমার মূল শক্তি হচ্ছে অ্যান্টিবডি। কারণ এটা ভাইরাসের গায়ে লেগে, ভাইরাসটাকে অকেজো করে দেয়, তখন ভাইরাস আর সেলের মধ্যে ঢুকতে পারে না। অ্যান্টিবডি টেস্ট দ্রুত করা দরকার। অ্যান্টিবডি টেস্টের পরেই প্লাজমা দিতে হবে প্রথমদিকে। প্রথমদিকে শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ বেশি থাকে। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। কিন্তু তার আদর্শ রূপায়িত হয়নি। যতদিন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ না হবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকারভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে না।
Discussion about this post