নিজস্ব প্রতিবেদক
কিন্ডারগার্টেনের প্লে শ্রেণির আদলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আগামী বছর থেকে চালু হচ্ছে দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক। ফলে সরকারি প্রাথমিকে বিদ্যমান এক বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার বদলে তা হবে দুই বছরের। তবে প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে এটি। এতে অর্থায়ন করছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন। এই প্রকল্পে সরকারের কোনও টাকা খরচ হবে না। এরপর সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক পুরোপুরি চালু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি শ্রেণি হিসেবে প্রথম এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শুরু করা হয় ২০০৪ সালে ব্র্যাকের মাধ্যমে। এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক এক বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হয়। তবে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতে থাকে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি। এরপর ২০১৬ সাল থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করা হয়। এতে যুক্ত হয় ২৬ হাজার ১৪৯টি নিবন্ধিত প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার পর।
জানা গেছে, মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে পড়ার যোগ্যতা তৈরি ও বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার অভ্যাস করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ নিয়ে শিশুদের ঝরে পড়া রোধসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়ন ঘটে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে দুই বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক করার উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়। ছয় বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির জন্য প্রস্তুত করার লক্ষে শিশুদের ৪ বছর বয়সে প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সর্বশেষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন নিজ উদ্যোগে বিদেশি অর্থায়নে দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি করার পরিকল্পনা নেয়। গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের অর্থ সহায়তা নিয়ে দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক পাইলটিং করার পরিকল্প নেওয়া হয়। আগামী বছর দেশের প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পাইলটিং শুরু হবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন বলেন, আগামী বছর থেকে প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে প্রাথমিক একটি করে স্কুলে পাইলটিং করবো। বিদেশ থেকে ৫৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ নিয়ে এসেছি। টাকা দিচ্ছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কোনও অর্থ ব্যয় হবে না।
Discussion about this post