অনলাইন ডেস্ক
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সামাজিক অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বাসায় থেকেছে শিক্ষার্থীরা।তবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বহির্বিশ্বের অনেক দেশ নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করেছে।
শুক্রবার (২১ আগষ্ট ) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্বের ৬৭টি দেশ নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করেছে, যার প্রায় অর্ধেক ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলো ফের চালু করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ জাতীয় শিক্ষার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ৯৫ শতাংশ দেশই নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করতে একমত। দেশগুলো পুনরায় সব স্কুল চালু করার পরিকল্পনা করছে এবং সংক্রমণ এড়াতে নীতিমালার কথা ভাবছে।
ফ্রান্স, উরুগুয়ে নতুন শিক্ষা বর্ষ চালু করছে। শারীরিক দূরত্বের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে স্কুল চালু করতে একমত ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া।
স্কুলে পড়ার সময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা উচিত বলে মনে করে আফ্রিকার দেশ জিবুতি। ব্রাজিল, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের মতো কয়েকটি দেশ এ সিদ্ধান্তটি রাজ্য, প্রদেশ এবং জেলায় চালু করেছে। শেখার এবং সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া চ্যালেঞ্জিং মনে করে অনেক দেশ।
মেক্সিকোতে শিক্ষার্থীরা টিভি বা রেডিওর মাধ্যমে তাদের পাঠ পেয়ে ২০২০-২০২১ সাল শুরু করবে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শহর ও স্কুল জেলা যেমন আটলান্টা, হিউস্টন, মিয়ামি এবং ওয়াশিংটন, ডিসি শহরতলিতে ২০২০-২০২১ এর প্রথম সেমিস্টারের জন্য অনলাইন শিক্ষার একচেটিয়া ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।
পানামায়, টিভি, রেডিও, প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্থানগুলোর সমন্বিত একটি সংহত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুলাই মাসে ক্লাস শুরু হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং স্থিতিস্থাপকতার ওপর ফোকাস করার জন্য পাঠ্যক্রমটি রূপান্তর করেছে।
Discussion about this post