নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি-কাম প্রহরীদের দাবি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিপিই’র প্রশাসন পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাদের এ আশ্বাস দেন। এ কারণে দিনভর আন্দোলন চালিয়ে গেলেও বিকালে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে বাড়ি ফিরে গেছেন তারা।
জানতে চাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মামুন সরদার বলেন, দফতরি-কাম প্রহরীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসলে বারবার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠানো হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় দেয়ার পরও আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে দাবি আদায় ছাড়া লাগাতর আন্দোলন শুরু করতে সারাদেশ থেকে সব দফতরি-কাম প্রহরী ডিপিই’র সামনে অবস্থান নিয়ে লাগাতর আন্দোলন শুরু করি।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার পর অধিদফতরের প্রশাসন পরিচালক আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালকের সঙ্গে আমাদের বসিয়ে দাবি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। আমরা জাতীয়করণের একদফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসব। দাবি আদায় না হলে পরদিন অধিদফতরের সামনে লাগাতার আন্দোলন শুরু করা হবে।
এদিকে চাকরি জাতীয়করণ, বেতন বৈষম্য নিরসনসহ চার দফা দাবিতে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি-কাম প্রহরীরা।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় পাঁচ হাজার দফতরি-কাম প্রহরী সমবেত হয়ে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দফতরি-কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি করেও তারা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে তাদের দিনে দাফতরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এ পদে নিয়োগের পর থেকে তাদের ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
Discussion about this post