জীব বিজ্ঞানের শাখা
Biology : জীব বিজ্ঞান (Bios অর্থ জীবন এবং logos অর্থ জ্ঞান)
জীব বিজ্ঞানের শাখা দুটিঃ i)Botany ii) Zoology
প্রানীর সাধারন বৈশিষ্ট্য–
ক) কোষের নিউক্লিয়াস ইউক্যারিওটিক (প্রকৃ্ত কোষ)
খ) পুষ্টি হলোজয়িক (জটিল জৈব পদার্থ আহার করে)
গ) কোষ সেলুলোজ নির্মিত, কোষ প্রাচীর বিহীন।
ঘ) কোষে সেন্ট্রিউল থাকে কিন্তু প্লাস্টিড থাকে না।
ঙ) এরা এককোষী অথবা বহুকোষী।
প্রানীবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাঃ
Morphology : অজ্ঞসংস্থান বিদ্যা
Anatomy : শারীরস্থান বিদ্যা
Cytology : কোষবিদ্যা
Histology : কলাস্থানবিদ্যা
Embryology : ভ্রুনবিদ্যা
Genetics : জীনতত্ত্ব বা বংশগতিবিদ্যা
Ecology : বাস্তসংস্থানবিদ্যা (পরিবেশের সাথে জীবের অভিযোজন /সম্পর্ক আলোচনা করে)
Parasitology : পরজীবীবিদ্যা
Evolution : বিবর্তন বিদ্যা (প্রানী জগতের উৎপত্তি সম্পর্ক আলোচনা করে)
Etiology : প্রানী আচরনবিদ্যা
Taxonomy : শ্রেনীবদ্ধবিদ্যা
Ornithology : পাখি সম্পর্কিত বিদ্যা
Ichthyology : মাছ সম্পর্কিত বিদ্যা
Virology : ভাইরাস সম্পর্কিত বিদ্যা
Herpetology : উভচর ও সরীসৃ্প প্রানী সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়।
Astrology : নক্ষত্র দেখে ভবিষ্যৎবানী করার শাস্ত্র
Astronomy : জ্যোতিষ্কবিদ্যা
Geology : ভূ-তত্তবিদ্যা
Archaeology : প্রত্নবিদ্যা
Meteorology : আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিজ্ঞান
Philately : ডাকটিকেট সংগ্রহ সম্পর্কিত বিজ্ঞান
Aeronautics : বিমান চালনা বিদ্যা
Philology : ভাষা সম্পর্কিত বিজ্ঞান
Biometry Biostatistics : প্রানীর পরিসংখ্যান বা জীবমিতি
- পৃথিবীর আকার ও আয়তন সম্পর্কিত আলোচনা করে- জিওলজি।
- ভূ-পৃষ্ঠ ও ভূগভস্থ পানি সম্পকে আলোচনা করে- হাইড্রলজি।
- ম্যালকোলজিঃ শামুক-ঝিনুক সম্পর্কিত আলোচনা করে।
রোগ ও চিকিৎসা
১। ডায়ারিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, হেপাটাইটিস (জন্ডিস) ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ।
২। পক্স, হাম, ম্যাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সার্স ইত্যাদি বায়ুবাহিত রোগ।
৩। যেসব রোগ রোগীর সংস্পর্শের (হাঁচি, কাশি) মাধ্যমে ছড়ায় তাকে ছোঁয়াচে রোগ বলা হয়। যেমন- যক্ষা, দাঁদ, চর্মরোগ ইত্যাদি।
৪। যেসব রোগের জীবানু বায়ু বা পানি প্রভৃতির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রোগের সৃষ্টি করে, তাকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন- কলেরা, বসন্ত, টাইফয়েড ইত্যাদি।
৫। ম্যালেরিয়া রোগে ব্যবহৃত ঔষধ- কুইনাইন, ক্লোরোকুইন, মেফলোকুইন (সালফাডসিন+পাইরিমেথানিন) ইত্যাদি।
৬। এইডস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ- ল্যামিভিউডিন, জিজোভিউডিন, ডিড্যানোসিন।
৭। ক্রোনিক হেপাটাইটিস রোগে ব্যবহৃত হয় ইন্টারফের, ল্যামিভিউডিন।
৮। ভায়াগ্রা হল একটি যৌন উত্তেজক ঔষধ। এর প্রকৃ্ত নাম সিলডেনাফিল। মাকিন কোম্পানি ফাইজার এর প্রস্তুতকারক।
৯। কুইনাইন ঔষধ সিঙ্কোনা গাছ থেকে তৈ্রি করা হয়। কুইনাইন বা সিঙ্কোনা ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
১০। অ্যাসাইক্লোরোভির একটি অ্যান্টি-ভাইরাস ঔষধ। এ ঔষধ হার্পিস, জলখন্ড রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
১১। যে সকল ঔষধ ভাইরাস ধবংস করে তাদের অ্যান্টি ভাইরাস বা Antiviral Drug বলে।
১২। যে সকল ঔষধ ব্যাকটেরিয়া ধবংস করে তাদের অ্যান্টিবাইয়োটিক বলে।
১৩। বিষহীন সাপ কাটলে অনেকগুলো ছোট দাতের বৃত্তাকার দাগ হয়।
১৪। বিষধর সাপ কাটলে ক্ষত স্থানে বড় বড় দুটো দাতের দাগ থাকে।
১৫। First Aid Box হল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধ ও সরঞ্জামের বাক্স।
জীব বিজ্ঞানের কয়েকজন স্মরনীয় বিজ্ঞানী
১। উইলিয়াম হার্ভেঃ বৃটিশ বিজ্ঞানী। তিনি মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে তার গবেষনার মাধ্যমে আধুনিক শারীরবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেন। বিখ্যাত বইঃ Essay on the motion of the heart and blood.
২। অ্যান্টনি ভন লিউয়েন হুকঃ নেদারল্যান্ডের অধিবাসী। ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, শৈবাল, রক্তকণিকা, শুক্রানু আবিস্কার করেন।
৩। লুই পাস্তুরঃ ফ্রান্সের বিজ্ঞানী। জলাতঙ্ক, অ্যানথ্রাক্স, মুরগির কলেরা ইত্যাদির অনুজীব ও ভ্যাকসিন আবিস্কার করেন। পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তিনি বায়োজেনেসিস তত্ত্বের প্রবক্তা। “জীব থেকেই জীবের সৃষ্টি হয়”- এ সম্পর্কে তিনিই প্রথম আলোকপাত করেন।
৪। ইবনে সিনাঃ তিনি একজন বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানী। চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর আলকেমী বই এর প্রণেতা।
৫। রবার্ট হুকঃ ইংল্যান্ড-এর আধিবাসী। কোষ আবিস্কার করেন।
৬। স্যার রোনাল্ড রসঃ যুক্তরাজ্যের আধিবাসী। ম্যালেরিয়া জীবানু আবিস্কার করেন।
৭। জোনাস সকঃ যুক্তরাষ্ট্রের আধিবাসী। পোলিও টিকা আবিস্কার করেন।
৮। এডওয়ার্ড জেনারঃ যুক্তরাজ্যের আধিবাসী। বসন্তের টিকা আবিস্কার করেন।
৯। ক্যালম্যাট ও গুয়েরিনঃ ফ্রান্সের আধিবাসী। যক্ষার টিকা আবিস্কার করেন।
১০। আলেকজন্ডার ফ্লেমিং: স্কটল্যান্ডের আধিবাসী। পেনিসিলিন আবিস্কার করেন।
১১। হরগোবিন্দ খোরানা: ভারতের আধিবাসী। কৃত্রিম জীন আবিস্কার করেন।
১২। ল্যান্ড স্টেইনারঃ অস্ট্রিয়ার আধিবাসী। রক্তের গ্রুপ আবিস্কার করেন।
রক্ত (Blood)
রক্তঃ
* রক্ত এক ধরনের তরল যোজক কলা।
* সামান্য লবণাক্ত।
* PH ৭.২-৭.৪
*মানবদেহে শতকরা ৮ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে ৫-৬ লিটার)।
*মানুষের রক্তের তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড (গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড)।
* রক্তে অক্সিজেন পরিবিহন ক্ষমতা নষ্ট করে কার্বন-মনো অক্সাইড (CO)
* জ্বর হলে রক্তের PH কমে যায়।
* রক্তে হেপারিন থাকার জন্য দেহের অভ্যন্তরে তা জমাট বাঁধে না।
* জোঁকের লালাতে হিরোডিন নামক পদার্থ থাকে বলে জোঁকে কামড়ালে রক্ত জমাট বাঁধে না।
* রক্ত গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা ৬৫-১১০ mg/dl ।
* রক্তের উপাদান ২ টি । যথা রক্তরস (৫৫%) ও রক্ত কনিকা (৪৫%)
* আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে- অক্সিজেন ও গ্লুকোজ।
* রক্তের কাজ–
ক. হরমোন বিতরণ করা।
খ. ক্ষুদ্রান্ত হতে কলাতে খাদ্যের সারবস্তু বিতরণ করা।
গ. কলা হতে ফুসফুসে বর্জ্য পদার্থ বহন করা।
* রক্তে প্রোটিনের হার ৪৫%
* রক্তের লৌহিত কণিকা তৈরি হয়- লোহিত অস্থি মজ্জায়।
* রক্ত কণিকা ৩ প্রকার।
* রক্ত স্বল্পতা হল- রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া।
* হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে- আমিষ জাতীয় পদার্থ।
* রক্তে জমাট বাধার ৪ টি কারণ-
ক. ফ্রিব্রিনোজেন
খ. প্রোথম্বিন
গ. টিস্যু থ্রম্বোপ্লাস্টিন
ঘ. ক্যালসিয়াম আয়ন
* ব্লাড ক্যান্সার হয়- রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পেলে।
* সাদা বা বর্ণহীন রক্তবিশিষ্ট প্রাণী- তেলাপোকা
* শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী- ব্যাঙ
* রক্তে শ্বেত কণিকা বেড়ে গেলে তাকে বলে -লিউকেমিয়া।
* রক্ত জমাট বাঁধায়- অণুচক্রিকা
হিমোগ্লোবিন–
* লৌহিত রক্ত কণিকায় থাকে-হিমোগ্লোবিন।
* হিমোগ্লোবিন বহন করে- অক্সিজেন।
* রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকলে তা হয়- হলুদাভ।
* হিমোগ্লোবিনের জন্য রক্ত হয়- লাল ।
* হিম =লৌহ ধারণকারী এবং গ্লুবিন = প্রোটিন।
* হিমোগ্লোবিনকে বলা হয় রবিনহুড অণু।
* রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকে- কেঁচোর।
* রক্তের রিপোর্টে বেশী থাকা ভাল-হিমোগ্লোবিন ।
* হিমোসায়ানিনঃ ইহা তাম্রঘটিত নীল বর্ণের রঞ্জক পদার্থ যার উপস্থিতিতে রক্ত নীলাভ হয়। চিংড়ি, কাকড়া, শামুক ও ঝিনুকের রক্তরসে এটি থাকে।
* এন্ট্রিকোগুলেন্টঃ যে সকল পদার্থ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।যেমনঃ সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম সাইট্রেট, সোডিয়াম অক্সালেট।
* একজন মানুষ প্রতিবার রক্ত দিতে পারে ৩০০-৪০০ মিলিমিটার।
* রক্তরসে পানির পরিমাণ- ৯১-৯২%।
* রক্তরসের কাজঃ
ক. খাদ্যসার/ হরমোন/এনজাইম পরিবহণ।
খ. রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
গ. বর্জ্য পদার্থ বৃক্কে নিয়ে যাওয়া।
* লৌহিত রক্ত কণিকায় নেই- নিউক্লিয়াস। এর আয়ুষ্কাল ১২০ দিন। এর অভাবে অ্যানিমিয়া/রক্ত স্বল্পতা হয়।
* স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকায় বেড়ে যাওয়া- পলিসাইথেমি।
* যে প্রাণীর রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকা নেই কিন্তু হিমোগ্লুবিন আছে- কেঁচো।
* যে প্রাণীর রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকা আছে- উট।
* পিত্তরঞ্জক/ বিলিরুবিন তৈরি হয়- লৌহিত রক্ত কণিকার ভাঙ্গনে।
* শ্বেত রক্ত কণিকাঃ নির্দিষ্ট আকার বিহীন, নিউক্লিয়াসযুক্ত, বর্ণহীন। মানবদেহে এর স্বাভাবিক মাত্রা-৪০০০-১১০০০ কিউবিক/মিমি
* শ্বেত রক্ত কণিকা কমে যাওয়া বলতে বুঝায়- লিউকোপেনিয়া।
* শ্বেত রক্ত কণিকা বেড়ে যাওয়া বলতে বুঝায়- লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার।
* লোহিত রক্তকণিকাঃ শ্বেত রক্তকণিকা= ৫০০ঃ১ ।
* হেপারিন তৈরি করে- শ্বেত রক্ত কণিকার বেসোফিল।
* আনুবীক্ষনিক সৈনিক- শ্বেত রক্ত কণিকা ।
* অণুচক্রিকাঃ সবচেয়ে ছোট রক্ত কণিকা, নিউক্লিয়াসবিহীন।
* রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ফ্যাক্টর -১৩ টি
* রক্তনালী ও রক্তের গ্রুপঃ
* রক্তনালী তিন প্রকার- যথাঃ ধমনী, শিরা,ও কৈশিক নালীকা।
* ধমনী- হৃদপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ পুরো দেহে ছড়িয়ে দেয়।
* শিরাঃ দেহের বিভিন্ন অংশ হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃদপিণ্ডে বহন করে।
* ফুসফুসীয় ধমনী কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে।
* ফুসফুসীয় শিরা অক্সিজেন যুক্ত রক্ত বহন করে।
* ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত বাহিত হওয়ার বেগ ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা।
* রক্তের চাপঃ
১২০ | ৮০ |
সিস্টোলিক হৃদপিণ্ডের সংকোচন | ডায়াস্টোলিক-হৃদপিণ্ডের সংকোচন |
* রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন- উইলিয়াম হার্ভে
* রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন- ল্যান্ড স্টেইনার
* রক্তের গ্রুপ ৪ টি- যথা- A, B, O এবং AB.
*সার্বজনীন গ্রহীতা- AB গ্রুপ।
* সার্বজনীন দাতা- O গ্রুপ।
* সুস্থ ব্যাক্তির নাড়ীর স্পন্দন- ৭২/মিনিট
* ডাক্তারের নাড়ী দেখা- ধমনীর স্পন্দন দেখা
* High Blood Pressure: Excess of Pressure exerted by blood against Vessels.
গ্রন্থি, হরমোন ও এনজাইম
গ্রন্থি ও হরমোন :
১।গ্রন্থি : গ্রন্থি এক প্রকার রূপান্তরিত আবরণী কলা, যে কলার কোষসমূহ বিশেষ ধরনের রস নিঃসৃত করে।
২। গ্রন্থি ৩ প্রকার।যথা – (ক)অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি
(খ)বহিঃক্ষরা গ্রন্থি ও
(গ)মিশ্র গ্রন্থি
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি :
*হরমোন বা প্রাণরস তৈরি করে।
*হরমোন পরিবহনের জন্য কোন নালী নেই।
*ব্যাপন পক্রিয়ার মাধ্যমে হরমোন রক্তের প্রবাহে নির্দিষ্ট অঙ্গে পৌঁছায়।
*উদাহরণ – পিটুইটারি গ্রন্থি,থাইরয়েড গ্রন্থি,প্যারা-থাইরয়েড গ্রন্থি।
বহিঃক্ষরা গ্রন্থি:
*হরমোন ব্যতীত অন্য রস নিঃসৃত করে।
*নালীর মাধ্যমে রস নিঃসরণ হয়।
*উদাহরণ -যকৃত,স্তন গ্রন্থি,ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি,ঘর্ম গ্রন্থি।
মিশ্র গ্রন্থি:
*অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য +বহিঃক্ষরা গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য =মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য।
*উদাহরর- অগ্ন্যাশয়,শুক্রাশয়,ডিম্বাশয়।
৬।গ্রন্থিরাজ,রাজগ্রন্থি,প্রভুগ্রন্থি – পিটুইটারি গ্রন্থি।
৭। মানুষের শরীরের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি – যকৃত।
৮।ইনসুলিন নিঃসৃত করে – অগ্ন্যাশয়(আইলেটস অব ল্যাঙারহেনস)।
৯।ইনসুলিন এক ধরনের হরমোন যা চিনির বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ১৯২২ সালে প্রথম জার্মানিতে আবিষ্কৃত হয়।এর অভাবে ডায়াবেটিস /বহুমূত্র রোগ হয়।
১০।ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস বিপাকে সহায়তা করে – প্যারা-থাইরয়েড গ্রন্থি।
১১।জাগা-ঘুমানো নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন হরমোন।
১২।ইনসুলিন নিঃসরণ বেড়ে গেলে বা গ্লুকোজের অভাব হলে – হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়।
১৩।ইনসুলিন নিঃসরণ কমে গেলে /গ্লুকোজ বেড়ে গেলে – হাইপারগ্লাইসেমিয়া /ডায়াবেটিস মেলাইটাস হয়।
১৪।বিপদকালীন হরমোন /ভয় পেলে লোম খাড়া হয় – অ্যাড্রেনালিন হরমোনের কারণে।
১৫।জীবনরক্ষাকারী হরমোন বলা হয় – অ্যালডোস্টেরন হরমোনকে।
১৬।গোঁফ, দাড়ি প্রভৃতি জন্য দায়ী – টেস্টোস্টেরন হরমোন।
১৭।হরমোনকে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়।
১৮।গায়ের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে – অ্যাড্রো কর্টিকোট্রোপিক হরমোন (ACTH)।
১৯।বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে তৈরি করা যায় – ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন।
২০।যে হরমোন রক্তে ক্যালশিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে – থাইরোক্যালসিটোনিন।
২১।লিভারের গ্লাইকোজেনকে ভেঙে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে – গ্লুকাগন।
২২।চোখের পানির উৎস – ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।
২৩।চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস হয় – কথাটি সত্য নয়।
২৪।রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায় – গ্লুকানন,গ্রোথ হরমোন, কর্টিসল,অ্যাড্রেনালিন।
২৫। ঘাম নিঃসরণ করে – মবোমিয়ান গ্রন্থি।
এনজাইম:
২৬।প্রাণহীন, অজানা, অদানাদার, রহস্যময় পদার্থ। এটি আমিষ দিয়ে তৈরী।
২৭।লালারসে থাকে যেসকল এনজাইম – মিউসিন,টায়ালিন,মলটেজ।
২৮।পাকস্থলীরসে থাকে – পেপসিন(প্রধানত) ও লাইপেজ এনজাইম।
২৯।অগ্ন্যাশয় রসে থাকে – ট্রিপসিন,অ্যামাইলেজ,লাইপেজ ও মলটেজ এনজাইম।
৩০।আন্ত্রিক রসে থাকে – অ্যামাইলেজ, মলটেজ,ল্যাকটেজ ও সুক্রেজ এনজাইম।
৩১।যে জারকরস পাকস্থালীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায় – রেনিন।
৩২।শর্করা জাতীয় খাদ্যকে পরিপাক করে – টায়ালিন+ মলটেজ+অ্যামাইলেজ +ল্যাকটেজ এনজাইম।
৩৩।পাকস্থালীরসে শর্করা পরিপাককারী কোন এনজাইম নেই।
৩৪।আমিষ জাতীয় খাদ্যকে পরিপাক করে – অ্যামাইনো পেপটাইডেজ+ট্রিপসিন+ কাইমোট্রিপসিন+ পেপসিন এনজাইম।
৩৫।লালারসে আমিষ পরিপাককারী কোন এনজাইম নেই।
৩৬।স্নেহ /লিপিড জাতীয় খাদ্য পরিপাক করে – লাইপেজ এনজাইম।
শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ সংক্রান্ত তথ্য
** শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ:
১। নিউমোনিয়া, হাঁপানি : ফুসফুসের রোগ।
২।সার্স (SARS): Severe Acute Respiratory Syndrome, ভাইরাসঘটিত রোগ।
৩। ব্রঙ্কাইটিস : শ্বাসনালীর সংক্রমণ।
৪।ডিপথেরিয়া : ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ, এতে কণ্ঠনালী ও শ্বাসনালী আক্রান্ত হয়।
** অন্যান্য কিছু রোগ:
৫।গ্লুকোমা : চোখের রোগ।
৬।হিমোফিলিয়া : স্বভাবিক সময়ে রক্ত জমাট না বাঁধা।
৭।ডেঙ্গুজ্বর: ভাইরাসঘটিত রোগ,এডিস মশা এর বাহক।
৮।কুষ্ঠ রোগ: ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ,শরীরের ত্বক ও স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে।
৯।শ্বেতী /ধবল রোগ: বংশগত একটি রোগ,মেলানিনের ঘাটতি হলে এ রোগ হয়।
১০।সোয়াইন ফ্লু: H1 N1 ভাইরাসঘটিত রোগ।
১১। বার্ড ফ্লু: H5 N1 ভাইরাসঘটিত রোগ।
** কিছু বংশগত রোগ:
১২। শ্বেতী /ধবল,হিমোফিলিয়া, বর্ণাঙ্গতা,রাতকানা, ক্ষীণদৃষ্টি।
** রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য:
১৩।ইকোকার্ডিওগ্রাফি: হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ও রোগ শনাক্তকরণের বিশেষ পরীক্ষা।
১৪।পেসমেকার: হৃদপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণ চালু রাখার যন্ত্র।
১৫।ইসিজি (ECG): হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের লেখচিত্র অংকনের যান্ত্রিক ব্যবস্থা।
১৬। সিপিআর(CPR): Cardiopalmonary Resuscitation, স্থির হৃদপিণ্ড বা শ্বাসযন্ত্রকে পুনরায় চালু করার পদ্ধতি।
১৭।আকু পাংচার: সুঁই ফুটিয়ে রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি।
১৮।কেমোথেরাপি : ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি।
১৯।রেডিওথেরাপি : ক্যান্সারের কোষকে মেরে ফেলার চিকিৎসা পদ্ধতি। বিভিন্ন পরমানুর আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
২০। EDD: Expected Date of Delivery অর্থাৎ সম্ভাব্য প্রসবের তারিখ।
২১। স্টেথোস্কোপ : হৃদস্পন্দন / হৃদগতি রেকর্ড করার যন্ত্র।
বিজ্ঞান বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান
১. প্রশ্ন: ডিএনএ অণুর দ্বি –হ্যালিক্স কাঠামোর জনক কে?
উত্তর: ওয়াটসন ও ক্রিক
২. প্রশ্ন: হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?
উত্তর: আমিষ
৩. প্রশ্ন: কোন প্রানীকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়?
উত্তর: উট
৪. প্রশ্ন: আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
উত্তর: ৩
৫. প্রশ্ন: হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
উত্তর: বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
৬. প্রশ্ন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
উত্তর: অক্সিজেন পরিবহন করা
৭. প্রশ্ন: মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস –
উত্তর: শ্বসন
৮. প্রশ্ন: Photosynthesis takes
place in –
উত্তর: Green parts of the plants
৯. প্রশ্ন: ইউরিয়া সার থেকে উদ্ভিদ কি খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে?
উত্তর: নাইট্রোজেন
১০. প্রশ্ন: ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যটি সঠিক নয় তা হল–
উত্তর: চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়
১১. প্রশ্ন: Dengue fever is spread
by–
উত্তর: Aedes aegypti mosquito
১২. প্রশ্ন: সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি?
উত্তর: ৬ টি
১৩. প্রশ্ন: ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোথা থেকে?
উত্তর: অগ্ন্যাশয় হতে
১৪. প্রশ্ন: হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে-
উত্তর: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস
১৫. প্রশ্ন: অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হল –
উত্তর: গ্লাইকোজেন
১৬. প্রশ্ন: প্রানী জগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে –
উত্তর: জেনেটিক্স
১৭. প্রশ্ন: কোন খাদ্যে প্রোটিন বেশি?
উত্তর: মসুর ডাল
১৮. প্রশ্ন: কোন ডালের সঙ্গে ল্যাথারাইজম রোগের সর্ম্পক আছে?
উত্তর: খেসারী
১৯. প্রশ্ন: জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি ?
উত্তর: পানি সেচ
২০. প্রশ্ন: পানির জীব হয়েও বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়–
উত্তর: শুশুক
২১. প্রশ্ন: যে সব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়-
উত্তর: প্যাথজেনিক
২২. প্রশ্ন: মস্তিষ্ক কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
উত্তর: স্নায়ুতন্ত্রের
২৩. প্রশ্ন: ভাইরাস জনিত রোগ নয় কোনটি?
উত্তর: নিওমোনিয়া
২৪. প্রশ্ন: প্রাণী জগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে-
উত্তর: ইভোলিওশন
২৫. প্রশ্ন: নিচের কোনটি আমিষ জাতীয় খাদ্য হজমে সাহায্য করে?
উত্তর: ট্রিপসিন
২৬. প্রশ্ন: মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
উত্তর: প্লিহাতে
২৭. প্রশ্ন: কোনটি এ্যান্টিবায়োটিক?
উত্তর: পেনিসিলিন
২৮. প্রশ্ন: জন্ডিসে আক্রান্ত হয় –
উত্তর: যকৃত
২৯. প্রশ্ন: সবচেয়ে বড় ভাইরাস হল-
উত্তর: গো-বসন্তের ভাইরাস
৩০. প্রশ্ন: কোনো পরিবহন তন্ত্র নেই-
উত্তর: ছত্রাকের
৩১. প্রশ্ন: ঝিনুকের রক্তে কি নেই?
উত্তর: হিমোগ্লোবিন
৩২. প্রশ্ন: গলদা চিংড়ি কোন পর্বের প্রানী?
উত্তর: আর্থ্রোপোডা
৩৩. প্রশ্ন:মুক্তায় কত ভাগ CaCO3 থাকে?
উত্তর: ৮৮-৯০ ভাগ
৩৪. প্রশ্ন: চিংড়ির চাষকে কি বলে?
উত্তর: Prawn culture
৩৫. প্রশ্ন: ঝিনুক সংগ্রহের আদর্শ সময় কোনটি?
উত্তর: গ্রীষ্মকাল
৩৬. প্রশ্ন: “আমা” শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: সাগর কন্যা
৩৭. প্রশ্ন: কত সালে মৎস্য সংরক্ষন আইন প্রনয়ন করা হয়?
উত্তর: ১৯৫০
৩৮. প্রশ্ন: মাছ চাষের জন্য উপকারী পানি হল-
উত্তর: ক্ষার ধর্মী পানি
৩৯. প্রশ্ন: মাছের প্রাকৃতিক খাবার হল-
উত্তর: প্লাংকটন
৪০. প্রশ্ন: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রানীকে কি বলে-
উত্তর: জুয়োপ্ল্যাংকটন
৪১. প্রশ্ন: ব্ল্যাক টাইগার বলা হয় –
উত্তর: বাগদা চিংড়ি
৪২. প্রশ্ন: প্রতিদিন আমরা গড়ে আমিষ খাই কত গ্রাম?
উত্তর: ২১
৪৩. প্রশ্ন: জীবদেহের কাজের একক কি?
উত্তর: কোষ
৪৪. প্রশ্ন: সর্বপ্রথম কোষ আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর: রবার্ট হুক
৪৫. প্রশ্ন: টিস্যুর গঠনগত একক কি?
উত্তর: কোষ
৪৬. প্রশ্ন: মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা কতটি?
উত্তর: ৪৬
৪৭. প্রশ্ন: কত সালে রিকম্বিনেট DNA তৈরি করা হয়?
উত্তর: ১৯৭২
৪৮. প্রশ্ন: প্রানিজগতের জীববৈচিত্র্যকে কি বলে?
উত্তর: প্রানীবৈচিত্র্য
৪৯. প্রশ্ন: Fauna বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: প্রানিকূল
৫০. প্রশ্ন: ছত্রাকের কোষ কি দিয়ে তৈরি?
উত্তর: কাইটিন
Discussion about this post