বিশেষ প্রতিবেদক
বন্যার কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের অন্তত পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, বন্যার কারণে মোট তিন হাজার ৯১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাধ্যমিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ শরীয়তপুরের নড়িয়ার বসাকের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়, যা সারাদেশে আলোড়ন তোলে।
শুধু এটিই নয়, আরো অনেক স্থানের প্রতিষ্ঠান হয় বিলীন হয়েছে, নয়তো পানিতে তলিয়ে আছে। বসাকের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের দুটি ভবন জমিসহ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় স্থাপনে চেষ্টা চলছে এখন। ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকের পরিবারের বাড়িঘরও বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৪৬০টি, রাজশাহীতে ৭৬১টি, সিলেটে ৫৮২টি, ময়মনসিংহে ৩৮৮টি, চট্টগ্রামে ৫২টি, রংপুরে ৬৬৪টি, বরিশালে পাঁচটি ও খুলনায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, বন্যার পানি নামলে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য আলাদা তহবিলও রাখা হয়েছে। কোথাও ক্ষুদ্র আবার কোথাও বড় সংস্কারের প্রয়োজন হবে। তহবিলের টাকায় তা সম্ভব না হলে রাজস্ব খাত থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে মাধ্যমিকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তাদের প্রাথমিক তথ্য মতে, এক হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ফলে করোনার পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও পড়াশোনায় বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য নিরূপণ করে সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানো হবে। সেই ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
Discussion about this post