নিউজ ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অন্য সব দেশ যখন পাবে তখন বাংলাদেশও পাবে। এই ভ্যাকসিন প্রথম পাওয়া যাবে ফ্রন্ট লাইনারদের জন্য ৩ শতাংশ বা ৫১ লাখ এবং পরবর্তী সময় যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে তাদের জন্য ২০ শতাংশ বা তিন কোটি ৪০ লাখ। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি) কাজ করছে।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সঙ্গে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী’সহ অধিদফতরের অন্য লাইন ডিরেক্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ভ্যাকসিন কবে আসবে জানতে চাইলে এ সময় জানানো হয়, এ পর্যন্ত ১৪১টি ভ্যাকসিন ডেভোলপ হয়েছে, হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে থার্ড ফেইজের ট্রায়ালে রয়েছে চায়নার তিনটি, অক্সফোর্ডের একটি, মর্ডানার একটি ও ফাইজার একটি ।
এক্ষেত্রে স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ হিসেবে বাংলাদেশ প্রাথমিকপর্যায়ে ফ্রন্ট লাইনারদের জন্য চাহিদার ৩ শতাংশ বা ৫১ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়া পরবর্তী সময় কয়েকটি ধাপে বাকি ২০ শতাংশ বা তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। সেটি সিঙ্গেল ডোজ হোক আর ডাবল ডোজ হোক।
অনুষ্ঠানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রথমে সেখানেই যাওয়া হবে যেখানে পিসিআর পরীক্ষা নেই এবং সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। অ্যান্টিজেন টেস্ট যে কোনও সময় শুরু হবে।
এছাড়া সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, অধিদফতরের অধীনে একটি মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের তথ্য মিডিয়া সেলের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হবে। মিডিয়া সেলে একটি হট নম্বর থাকবে যেখানে মিডিয়াকে তথ্য জানাতে রোস্টার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা একজন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন।
Discussion about this post