নিজস্ব প্রতিবেদক
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও একাদশে ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী। আর আবেদন করেও ৬৪ হাজার ৯৭২ জন কলেজের মনোনয়ন পায়নি। এছাড়া ভর্তির জন্য কোনো আবেদন পায়নি ১৫২টি কলেজ। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ এ ব্যাপারে বলেন, পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলো রাখায় এমনটি হয়েছে। তবে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় ধাপে তারা আবেদনের সুযোগ পাবে। এবার কলেজ পছন্দের ক্ষেত্রে ভালো-মাঝারি মিলিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের পরামর্শ দেন তিনি।
রাজধানীর একটি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন আইরিন আক্তার সানজিদা। একাদশে ভর্তির জন্য ভিকারুননিসা নুন, আইডিয়াল কলেজসহ পাঁচটি কলেজকে পছন্দ দিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ভর্তির ফলাফলে পছন্দের কলেজে মনোনয়ন পাননি। হতাশ হয়ে সকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে জানতে পারেন, সবগুলো প্রথম সারির কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখায় কলেজ পাননি সানজিদা। তবে দ্বিতীয়বার আবার আবেদনের সুযোগ পাবেন তিনি।
জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থী ঠিকভাবে নির্বাচন না করায় প্রথম দফায় কলেজ পায়নি। তবে প্রথম দফার কেউ কলেজ নিশ্চয়ন না করে দ্বিতীয় দফায় আবেদন করতে চাইলে ফের ফি জমা দিতে হবে। দ্বিতীয় দফার আবেদনে তারা কলেজ পছন্দের ক্ষেত্রে শীর্ষ ও মাঝারি সারির কলেজ পছন্দ দিলে পেয়ে যাবে।
এদিকে ভর্তির প্রথম ধাপে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী একাদশের জন্য মনোনীত হয়েছে। কিন্তু আবেদন করে ১৩ লাখ ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। সে হিসাবে অন্তত ৬৪ হাজার ৯৭২ জন কলেজ মনোনয়ন পায়নি। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডেই রয়েছে তিন হাজার ৮০০ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী। আর সারাদেশের ৯ হাজার ৩১২ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, যারা কলেজ পায়নি তারা ওয়েবসাইটে ঢুকে ফি ছাড়াই পছন্দ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন শুরু হবে ৩১ আগস্ট, শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর চলবে। ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
অপরদিকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশে প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য ১৫২ কলেজে আবেদনই করেনি শিক্ষার্থীরা। সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডে ভর্তি আবেদন করেছিল ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন। আর এসএসসি ও সমমানে পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন।
এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ আছে। তারা শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী না পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মই আছে, কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বন্ধ করে দেওয়া।
Discussion about this post