নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ভার্চুয়াল সভার পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধানদের অংশগ্রহণে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এক অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতির করেন শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সভায় বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার কারণে কওমি মাদরাসা ছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় তিনি করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দদের নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ যুক্ত ছিলেন।
এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
এদিকে আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নোয়াখালীতে বিদ্যুতের উপকারভোগী এক ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যা কিছু করছি সব তোমাদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এখন করোনাকাল চলছে। তোমরা স্কুল করতে পারছে না। তারপরও বই আছে। তোমরা ভালো করে পড়াশোনা করো। পরীক্ষা তো হবে না, হয়তো প্রমোশন দিতে হবে। আমরা দেখছি কী করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার কারণে ছেলেমেয়েরা আজ স্কুলে যেতে পারছে না। এর ফলে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। (এখন) অনলাইনে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে টেলিভিশনে। তোমরা সেখানে মনোযোগ দেবে। করোনাকালে প্রচুর সময় পাচ্ছ। তোমাদের পড়ার সুযোগ হয়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারাবিশ্বেই এ অবস্থা।’
Discussion about this post