ক্রীড়া ডেস্ক
বোলারদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৯৫ রান করেও ৫ উইকেটে হেরে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বোলাররা হতাশ করলেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। দুজনই করেছেন ফিফটি, পৌঁছে গেছেন ব্যক্তিগত মাইলফলকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজ দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক বাবর। ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে করেছেন ৫৬ রান। এতে করে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির দুটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন বাবর।
রোববারের ম্যাচটি শুরুর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছতে বাবরের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। তিনি করেছেন আরও ২৭ রান বেশি। যার সুবাদে এখন টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম দেড় হাজার রানের মালিক এখন তিনি। এ রেকর্ডে বাবরের সঙ্গে রয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ এবং বিরাট কোহলি। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৫০০ এবং ১০০০ রানের রেকর্ডও বাবরের দখলে।
এটি ছাড়াও টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ গড়ের রেকর্ডে কোহলিকে দুই নম্বরে নামিয়ে দিয়েছেন বাবর। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই ফরম্যাটে অন্তত ৫০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় এখন বাবরের। ৪০ ম্যাচে ৫০.৯০ গড়ে ১৫২৭ রান রয়েছে তার নামের পাশে। এতদিন ধরে ৫০.৮০ গড়ে ২৭৯৪ রান করে রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছিলেন কোহলি।
বাবরের জোড়া রেকর্ডের দিনে বিশ্বের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই হাজার রানের মাইলফলকে প্রবেশ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ৩৬ বলে ৬৯ রান করেছেন হাফিজ। বর্তমানে ৯৩ ম্যাচে ২০৬১ রান তার নামের পাশে।
হাফিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে দুই হাজার রান করা অন্য ব্যাটসম্যানরা হলেন বিরাট কোহলি (২৭৯৪), রোহিত শর্মা (২৭৭৩), মার্টিন গাপটিল (২৫৩৬), শোয়েব মালিক (২৩৩৫), ইয়ন মরগ্যান (২২১৮), ডেভিড ওয়ার্নার (২২০৭), ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২১৪০) এবং পল স্টার্লিং (২১২৪)।
Discussion about this post