নিজস্ব প্রতিবেদক
সবুজ নিসর্গে পাহাড়ের কোলঘেষে অবস্থিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। ২০০৩ সালের এইদিনে (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুয়েটের যাত্রা।
যদিও এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই ‘বিআইটি, চট্টগ্রাম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।
করোনার কারণে আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম দিবস উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষ্যে সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।চুয়েটের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আনন্দ র্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা প্রভৃতি। এসব অনুষ্ঠানে চুয়েটের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
এটি একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিমি দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে রাউজান উপজেলায় ১৬৩ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজটি ১৯৮৬ সালে সীমিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’ তে রূপান্তরিত হয়। পূর্বেকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) ২০০৩ সালের ৩১ নং আইনের অধীনে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে চুয়েটে ৫টি অনুষদ, ১৮টি বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার এবং ৭টি আবাসিক হল (৫টি ছাত্র হল ও ২টি ছাত্রী হল) রয়েছে।
চুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া ২৮৫ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা ও ৩৫০ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এখানে প্রতিবছর চারটি অনুষদের অধীনে ১২টি বিভাগে মোট ৮৯০ আসনের বিপরীতে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়।
বিভাগসমূহ হচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এছাড়া নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিজেস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পৃথক পোস্ট গ্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে, নন-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ হচ্ছে-পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও মানবিক বিভাগ। চুয়েটের গবেষণা ইনস্টিটিউটসমূহ হচ্ছে-ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি, ইনস্টিটিউট অফ আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।
Discussion about this post