নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সোসাইটি (বিআরআইএস) কতৃক আয়োজিত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ভার্চুয়াল পোস্টার প্রতিযোগিতায় ১১২ টি পোস্টারের মধ্যে ১ম স্থান এবং গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্য তানভীর আরাফ। দলের বাকি দুজন হলেন একই বর্ষের নাহিদ হাসান এবং হাসিন জাওয়াদ স্বর্চি।
গত ২৯শে আগষ্ট রাতে বিআরআইএস এর প্রেসিডেন্ট ড. আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে জুম মিটিং আর ফেসবুক লাইভে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। পোস্টারের বিচারকমণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন দেশবরেণ্য ১৩ জন বিচারক , যারা বিভিন্ন দেশে অধ্যাপনা, পিএইচডি বা মাস্টার্সও করছেন আর বিভিন্ন রিসার্চের সাথে সংযুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ফ্যাকাল্টি ড. মোকাররম হোসেন।
“অ্যা সাস্টেইনেবল রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং ফর অ্যা বেটার ফিউচার” এই লক্ষ্যে বিজয়ীদের পোস্টার তৈরি হয়।
এ ব্যাপারে তানভীর আরাফ জানান, পোস্টারের মূল লক্ষ্য ছিল কিভাবে আমাদের আবাসিক বিল্ডিং গুলিতে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো। এজন্য আমরা যে পদ্ধতিগুলি দেখিয়েছি সেগুলি হচ্ছে ছাদে বায়ুচালিত টার্বাইন, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী পিভি গ্লাস, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সিড়ি এবং বারান্দা,ছাদের নিচে গ্রিন হাউজ, মিনি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, রেইনওয়াটার কালেক্টর এবং গ্রে ওয়াটার থেকে এনার্জি উৎপাদন করার কিছু উদ্ভাবনী আইডিয়া।
দলের সদস্য নাহিদ হাসান পুরষ্কারের ঘোষনা আসার পর নিজের অনূভুতি জানান, এটা আমাদের প্রথম কোনো পোস্টার প্রেজেন্টেশন ছিলো এবং এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম হলাম। আমি খুবই খুশি আমাদের টেকসই প্রযুক্তির এই ধারণাগুলো সবার ভালো লেগেছে। আমাদের এই অর্জন পরবর্তীতে সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে কাজ করতে আমাদেরকে আরো অনুপ্রেরণা দিবে।
এছাড়া টিম লিডার হাসিন জাওয়াদ স্বর্চি তার অপ্রত্যাশিত এবং অভূতপূর্ব অনুভূতি জানান। তিনি বলেন, অংশগ্রহণ করাটাই মুখ্য ছিল। জিতব আশা করি নি। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল এই প্রকল্পের আরো উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন।
দলের আরেক সদস্য তানভীর আরাফ বিআরআইএসের এই সুন্দর উদ্দ্যোগের প্রশংসা করেন আর বলেন, বিআরআইএসের উদ্দ্যোগ বা এমন ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম আমাদের ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। সাকিব আল হাসানের মত চার-ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতাতে পারিনা তো কি হয়েছে, কাল বিজয়ী ঘোষণার পরে নিজেকে বা নিজের দলের এমন ম্যাচ জিতার অনুভূতিটাই হলো! আসলে সেই আনন্দটা বেশি মধুর ছিলো কারণ এই কাজের পিছনে শ্রমটাও অনেক ছিল।
Discussion about this post