নিউজ ডেস্ক
আইনানুযায়ী ১৮ বছরের নীচে কেউ স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা বিচার-বিবেচনায় নিয়ে আজ প্লে থেকে শুরু করে বিশ্বিবিদ্যালয় পড়ুয়া সকল ছাত্র-ছাত্রীকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদিও শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব না হলেও যারা এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তাদের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষায়িত দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, আমরা যখন ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে সকলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করার কথা বলছি তখন আমাদের এর অপব্যবহারের দিকটি ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হয়। ইতোমধ্যে এর অপব্যবহার আমাদেরকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব কোন অ্যাপস তৈরী করতে সক্ষম হয়নি। তারা হয় তাদের পেজ, ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহার করে শিক্ষাদান করছেন। এতে করে বাড়ছে ঝুঁকি।
সময় এবং পরিস্থিতির কারণে বাবা-মারা কোমলমতি শিশুর হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শিশুদের স্বভাবজাত প্রক্রিয়া হচ্ছে অতি উৎসাহী থাকা। যখন এ সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যম খুলছে ঠিক তখনই বিকৃত ওয়েব সিরিজ, টিকটকের অপসংস্কৃতি বা ইউটিউবের রঙিন জগত তাদের আকৃষ্ট করছে।
একই সাথে হ্যাকারদের ম্যালওয়ারযুক্ত ম্যাসেজও ক্লিক করে নিজেদের এবং অভিভাবকদের জন্য বিপদে ডেকে আনতে পারে- যোগ করেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
এমন ঝুঁকি এবং শঙ্কার কথা তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিয়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি অ্যাপসের আওতায় এনে তাতে আলাদা আলাদা আইডি তৈরী করে অনলাইনে পাঠদানের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে এই সকল অ্যাপস সরকারিভাবে ফ্রি ব্যবহার করার সুযোগ দিলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও অনেকাংশে কমে আসবে। একই সাথে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা নিরাপত্তার আওতায় আসবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
Discussion about this post