নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস মহামারির পর পাঠদান আধুনিকায়ন করে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ও ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যার লাভ) অর্জনের জন্য নজর রাখতে হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে।
কোভিড-১৯-উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণদের অবস্থা নিয়ে নীতিনির্ধারকের ভাবনাসংক্রান্ত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এসব কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। গত শনিবার(৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিল ইয়াং বাংলা। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
আজকের অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, ‘সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য বিগ ডেটা, ব্লক চেইন… এগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রযুক্তির টোটাল ট্রান্সফরমেশন হবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারাটা আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ। আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো কারিগরি শিক্ষা।’
মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে প্রণয়ন করা ন্যাশনাল পারসপেকটিভ প্ল্যান আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি শিক্ষা আইনও চূড়ান্ত করা হবে।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষাকে পুরোপুরি ট্রান্সফর্ম করার জন্য চেষ্টা করছি। সবাই অনুভব করছি একটা কারিকুলাম আমাদের আছে, সেটাকে ক্রমাগত আপডেট করতে হবে। কারণ বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কারিকুলামে (শিক্ষাক্রমে) ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করছি।’
২০২১ সালে নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে ২০২২ সালে নিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য বাজার অর্থনীতির দিকে নজর রাখতে হবে বলে মনে করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিকুলাম প্রণয়নের পাশাপাশি দক্ষ শিক্ষক তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ২ হাজার মানুষ ফেরত এসেছেন।
Discussion about this post