নিজস্ব প্রতিবেদক
শূন্যপদ না থাকা স্বত্তেও চাহিদা দেয়া কিংবা এক বিষয়ের চাহিদায় অন্য বিষয় উল্লেখ করে ভুল তথ্য দেয়ায় সুপারিশ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি অনেক প্রার্থী। এমন চাহিদা দেয়ায় অনেকে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যোগদান করতে দেয়নি। এছাড়া শূন্য পদের ভুল চাহিদার বলি হয়ে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না অনেক শিক্ষক।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুল চাহিদা দেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে ৯০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১ হাজার ১৭৩জন প্রার্থী জটিলতায় পড়েছে ভুল তথ্য দেয়ায়। এনটিআরসিএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানের কতটির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আগামী সাত দিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএকে জানাতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভুল চাহিদা দেয়া ৯০৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ১ হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী জটিলতায় পড়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠান এমপিও পদ নন-এমপিও ঘোষণা করেছেন। এজন্য ৩৫জন প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। তালিকাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এনটিআরসিএর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল চাহিদা দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয় শিক্ষা অধিদপ্তর ও এনটিআরসিএকে।
এছাড়াও গত ৩ আগস্ট এনটিআরসিএ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা পাঠাতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post