সাদ
আব্দুল
ওয়ালী
বিজ্ঞান আজ আমাদের পৌঁছে
দিয়েছে এক আধুনিক উৎকর্ষতার
যুগে। হয়তো আমরা অনেকে জানি
না আধুনিক স্টীম ইঞ্জিনের
আবিষ্কারক কে? তিনি হচ্ছেন
স্কটিশ পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ওয়াট। তিনি শিল্প সংক্রান্ত
বিপ্লবের ক্ষেত্রে ছিলেন প্রধান চরিত্র।
বিজ্ঞানীর জীবনে মজার ঘটনা
জেমস ওয়াটের বাবা ছিল
একজন ঠিকাদার ও জাহাজ ব্যবসায়ী। মজার কথা, স্কুলের পড়াশুনায়
তার তেমন আগ্রহ ছিল
না। অর্থাৎ তিনি নিয়মিত স্কুলে
যেতেন না।
বেশিরভাগ সময় তাঁকে বাড়ীতে
মায়ের কাছেই পড়াশুনা করতে
হতো। কিন্তু স্কুলের পড়াশুনা আগ্রহ না থাকলেও
গণিতে ছিল তাঁর বিশেষ
দক্ষতা। কে জানতো পরবর্তীতে এই
জেমস ওয়াট বিজ্ঞানের আবিষ্কারে
পৃথিবীকে অবাক করে দিবে।
বিজ্ঞানীর সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল
এসো এবার এই বিজ্ঞানীর
সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল জেনে নিইঃ
নাম- জেমস ওয়াট ।
জন্ম-১৯ জানুয়ারী ১৭৩৬
এবং মৃত্যু-২৫ আগস্ট
১৮১৯।
বাসস্থান- গ্রিনক, রেনফ্রশায়ার, স্কটল্যান্ড, জাতীয়তা-স্কটিশ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- গ্রিননক গ্রামার স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব
গ্লাসগো।
মানুষ আজ দূরকে জয় করেছে। পায়ে হাঁটার পথকষ্ট দূর হয়েছে যান্ত্রিক কল আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু একদিনে সেটা হয়নি। যুগ যুগ ধরে বহুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ মানুষ প্রবেশ করেছে যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে।
এক্ষেত্রে যাঁর প্রাথমিক অথচ সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদন বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে খচিত তাঁর নাম জেম্স্ ওয়াট (
James Watt ) তিনিই বিশ্ব প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিল উদ্ভাবন করেন।
তাঁর পথ ধরেই পরবর্তীকালে রেলগাড়ি ধাপে ধাপে তার চরমোৎকর্ষের যুগে প্রবেশ করে। অথচ জেম্স্ ওয়াট মূলত কোনো বিতজ্ঞানি ছিলেন না।
ছিলেন অল্পশিক্ষিত একজন টেকনিশিয়ান মাত্র।
আর এ-রকম মানুষটাই আবিষ্কার করেছিলেন বাষ্পীয় ইঞ্জিন। আজ সারা বিশে^ এই আবিষ্কারের জন্য তাঁকে বিজ্ঞানী বলে সম্মান করা হয়।
জেম্স্ ওয়াটের জন্ম ১৭৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডে এক ছোট্টো শহরে।
তাঁদের পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। তাই বাল্যকালে তাঁকে ঠিকমতো স্কুলে যাওয়া হয়নি । বিদ্যায়তনিক লেখাপড়া বলতে যা বোঝায়, তার ভাগ্যে সেটা জোটেনি।
অবশ্য নিয়মিক পড়াশোনা না করলে কী হবে, মাথার জোর ছিল তাঁর। তাতে বুদ্ধি ছিল ঠাসা। সব সময় নানান জিনিস নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন। এটা কেমন করে হলো ,ওটা ওভাবে না হয়ে এভাবে হলে কেমন হয়Ñএসব ব্যাপারে ছিল তাঁর আজন্ম কৌতূহল। তিনি যে পরবর্তীকালে বষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন , এরও সূত্রপাত এ-রকমেরই একটি মজার কৌতূহল থেকে।
ঘটনাটা ঘটেছিল তাঁদের বাড়িতেই। তখনও তিনি কিশোর-বলক মাত্র । মা হাঁড়িতে ডিম সেদ্ধ করছিলেন । জেমস ওয়াটও রান্নাঘরে বসে ছিলেন মায়ের পাশে। কিছুক্ষণ পর মা তাঁকে উনুনের ওপর চাপানো হাঁড়ির দিকে নজর রাখতে বলে বাইরে চলে যান ।
এই অবস্থায় ওয়াট হঠাৎ করেই লক্ষ্য করলেন , ভেতরের গরম সাদা ধোঁয়া (বাষ্প) হাঁড়ির ঢাকনাটাকে ঠেলে দিতে চাইছে বারেবারে। ধাক্কা মারছে ক্রমাগত। আর এটা দেখেই ওয়াটের মাথায় বুদ্ধি পাক খেতে থাকে । ব্যাপারটা সত্যিই মজারতো! জলের ধোঁয়া , অথচ তারই এতো শক্তি! যদি এই শক্তিটাকে অন্য কোনো কাজে লাগানো যায়, তা হলে কেমন হয়! নিশ্চয়ই এর সাহায্যে অনেক বড় কাজও করা সম্ভব।
তার পর্যবেক্ষণের কথাটা ওয়াট মাকেও বলেন। মা শুনে হেসে বলেন , দূর পাগল ছেলে, ধোঁয়া দিয়ে আবার কী কাজ হবে?
কিন্তু মা কি ভাবতে পেরেছিলেন ছেলের মাথায় এই মুহূর্তে যে চিন্তার জন্ম হয়েছে, পরবর্তীকালে যান্ত্রিক সভ্যতার ক্ষেত্রে তা-ই বিপ্লবের সূচনা করবে! তিনি ছেলর সুপ্ত প্রতিভার কথা ভাবতেই পারেননি। পারলে অমন করে হেসে উড়িয়ে দিতে পারতেন না কথাটি।
জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে জেমস ওয়াট খুব বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি । সংসারের অভাব- অনটনের জন্য কিশোর বয়সেই তাঁকে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের এক কারখানায় চাকরি নিন। এখানে তাঁকে দিনরাত পরিশ্রম করতে হতো। কারখানার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ আর কঠোর পরিশমে দু দিনের তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। তারপর একদিন নিষ্ঠুর মালিক তাঁকে বের করে দেন কারখানা থেকে। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর সংসার চলবে না। তাই আবার তিনি বের হন কাজের সন্ধানে।
গ্রিনিচ শহরের পাশেই ছিল তিনশো বছরের পুরনো গ্লানগো বিশ্ববিদ্যালয় । এখানেই একদিন কর্মখালি বিজ্ঞাপন দেখে প্রার্থী হিসেবে হাজির হন ওয়াট । তাঁর মতো আরও অনেকেই ছিল , কিন্তু ওয়াটের কারিগরি দক্ষতা আর বুদ্ধি দেখে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকেই চাকরিতে নিয়োগ দেন।
এবার জীবনের মোড় ঘুরে যায় ওয়াটের। ভালো বেতন , পরিবেশও ভালো । তাই মন দিয়ে কাজও করতে থাকেন ।
এই সময় বাষ্পচালিত পাম্পিং ইঞ্জিনের একধরনের গাড়ি ছিলো। এটি আবিষ্কার করেছিলেন টমাস নিউকোমেন নামের এক কর্মকার। ব্রিটেনের কয়লাখনির মালিকার কয়লা নেওয়ার জন্য এই গাড়ি ব্যবহার করতেন ।
এই গাড়িতে ছিলো একটি পৃথক বয়লার এবং ইঞ্জিন। এর ছিল অনেক অসুবিধে। এটা চালাতে প্রচুর কয়লার দরকার হতো। তাই একে কয়লার খনি ছাড়া আর কোথাও ব্যাবহার করা যেত না।
বিশ^বিদ্যালয়ে অনেক যন্ত্রপাতি মধ্যে নিউকোমেন মডেলের একটি গাড়িও ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সেটা পড়ে ছিল অকেজো অবস্থায় । বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে আদেশ দিলেন গাড়িটা মেরামত করে দেওয়ার জন্য।
জেমস ওয়াট মেরামত করতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন , একে চালানোর জন্য প্রচুর কয়লা পোড়াতে হয়। ব্যাপারটা নিয়ে তাই তিনি খুব ভাবতে লাগলেন । আর ভাবতে ভাবতেই একটা নতুন পদ্ধতির বাষ্পীয় ইঞ্জিন নির্মাণের কল্পনা জেগে উঠল তাঁর মনে । শেষ পর্যন্ত তিনি এই সিদ্ধান্তে পোঁছুলেন যে , যদি বাষ্পশক্তির সঠিক ব্যবহার করা যায়, তা হলে কয়লার অপচয় রোধ করা যাবে। তবে এর জন্য দু রকমের নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা রাখতে হবে । কিন্তু সেই ব্যবস্থা দুটো কী?
এই রকম ভাবনা শেষে তিনি উপায় একটা বেরও করে ফেললেন। যদি এমনটা করা যায় যে , নল দিয়ে বাষ্প চলবে এবং তার সাথে একটি শূন্য আধার যুক্ত করা গেলে নলটিকে ঠান্ডা করা ছাড়াই বাষ্প সেই শূন্য আধারে গিয়ে ঘনীভূত হবে। এর জন্য দরকার পৃথক একটি বাষ্পসংকোচক যন্ত্র।
কিন্তু এ যন্ত্র তৈরি করতে তো যন্ত্রাংশ তৈরি করতে হবে। তার জন্য অর্থের দরকার । বিশ^বিদ্যালয় তো তাঁর গবেষণার জন্য অর্থসাহায্য দেবে না। তা হলে?
কী আর করা , ঋন পাওয়ার জন্য তিনি অনেকের কাছে ধারনা দিতে থাকেন । অবশেষে একজনকে পেয়েও যান । নাম তাঁর ডা.জন রোয়েবাক। তিনি ছিলেন ক্যারন আয়রন ওয়ার্কস নামের একটি কারখানার মালিক।
রোয়েবাকের সাথে ওয়াটের এই মর্মে চুক্তি হলো যে , ইঞ্জিন আবিষ্কারের জন্য যে টাকার দরকার হবে , তিনি তরি জোগান দেবেন। এর বিনিময়ে ওয়াট তাঁকে দেবেন দুই তৃতীয়াংশ শেয়ার ।
প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান পেয়ে কাজে লেগে গেলেন জেমস ওয়াট।অবশেষে ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে আবিষ্কার করলেন বাষ্পীয় ইঞ্জিন।
কিন্তুু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো না ওয়াটের। দু বছর যেত-না-যেতেই তাঁর ব্যাবসায় নেমে এলো দুর্যোগ। ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে কারখানার মালিক এবং জেমস ওয়াটের পার্টনার ডা.রোয়েবার পড়লেন চরম অর্থসংকটে। অবোশেষ তাঁদের অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, সমস্ত সম্পত্তি নিলামে উঠল। ওয়াট দেউলে হয়ে গেলেন। তাঁর কাখনার অন্য সব সম্পত্তির সথে তাঁর আবিষ্কৃত বাস্পিয় ইঞ্জিনও নিলামে ডাকা হলো। কিন্তুু এই অদ্ভুত ইঞ্জিন কেনার মতো কোন লোকই পওয়া গেল না। কেউ এর এক এর কানাকড়ি মূল্যও দিল না।
ফলে ওয়াটা-এর ইঞ্জিল ওয়াটের কাছেই থেকে যায়। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় তার উৎপাদন এবং বাজারজাত কারার ব্যাপারটিও। এভাবেই ব্যার্থ হয় তাঁর আসল উদ্দেশ্য ।
এই ঘটনার পর তাঁর মনও ভেঙে যায় একেবারে। তখন বাধ্য হয়ে তিনি ব্যাবসা করবেন বলে মনস্থির করেন এবং ছেড়ে দেন বিশ^বিদ্যালয়ের চাকরি। ফলে তাঁর দু কূলই যায়। এভাবেই তিনি পেরুতে থাকে। কিন্তু পেরুতে কী হবে,তখনও তাঁর সমস্ত অন্তরত্মা জুড়ে আছে তাঁর আবিষ্কৃত বাষ্পী ইঞ্জিলটা। ওটা তখনও তাঁর বাড়ির ইঠোনে পড়ে আছে। তার গায়ে মরচে পড়তে শুরু করছে।
ব্যাবসায় নামার পাশাপাশি তাঁর আবিষ্কারকে কীভাবে সফল করে তুলবেন,ওয়াট ভাবতে থাকেন সে কথাও।
তিনি আবার নতুন করে সন্ধান করেতে থাকেন অর্থ জোগানদারের। বার্মিংহামে এসে তিনি ম্যাথু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ- এর স্বত্বাধিকারী ম্যাথু বোলটনের সাথে দেখা করেন বোালটনও ছিলেন ঝানু ব্যাবসায়ী।তিনি জেমস ওয়াটার প্রস্তাবে রাজি হলেন।আগের মতোই দুই-তৃতীয়াংশ মুনাফার ভিত্তিতে চুক্তি হলো দু জনের মোধ্যে। স্থাপিত হলো বোল্টন বোলট অ্যান্ড ওয়াট ( Bolon & watt )।
ওয়াট আবার পরম উৎসাহে কাজ শুরু করলেন। তৈরি হতে থাকে ইঞ্জিন।
কিন্তুু এরই মধ্যে দেখা দেয় আরেক সমস্যা। খনির মালিক এবং অন্যরা যে গাড়ি ব্যবহার করতেন ,তার সবই ছিল ঘোড়ার টানা। কিন্তু এখানে যে ঘোড়া নেই! আছে ঘোড়ার চেয়ে শক্তিশালী জিনিস।
জেমস ভাবতে থাকেন, তা হলে ক্রেতাদের বোঝাতে হবে যে, তাঁর অনেকগুলো ঘোড়ার সাহায়্যে যে গাড়ি চালনা তার সমান শক্তি আছে এই ইঞ্জিণের।
তাঁই তিনি ইঞ্জিনের শক্তিকে অশ^শক্তিতে মাপে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন যেমোন, একটি ঘোড়া এক মিনিটে ৩৩,০০০ পাউন্ড ওজনের জিনিসকে এক ফুট ওপরে তুলতে পারে। তা হলে এক অশ^শক্তি হলো ৩৩,০০০ ফুট পাউন্ডের সমান। এভাবে তিনি তাঁর ইঞ্জিলের শক্তির মাপকে বোঝাতে থকেন।
এই পদ্ধতি আজও চলে আসছে। অবশেষে ওয়াটের জয় হলো।
তাঁর তৈরি বাষ্পী ইঞ্জিনের গাড়ি বাজারে ছাড়তেই লুফে নিতে শুরু করলো সবাই। প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার আবিষ্কৃত ইঞ্জিন। দেখতে দেখতে পুরনো মডেলের নিউকোমেনের ইঞ্জিন অব্যাবহার্য হয়ে পড়তে শুরু করে।
বাজারে কাটতি দেখে ওয়াটও পরম উৎসাহে তাঁর ইঞ্জিনের আরও উন্নতি সাধনে মনোনিবেশ করেন। শুধু বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার নয় ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে একটি নতু ঢালাই কারখনাও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
জেমস ওয়েটের পারিবারিক জীবন ছিল সুখের। তাঁর ছিল দুই ছেলে-জেমস ( James ) এবং গ্রেগরি ( Gregory )।
পরিনত বয়সে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাঁর ছেলেদের হাতে কারখানার শেয়ার এবং কাজকর্ম বুঝিয়ে দিয়ে অবসর গ্রহন করেন।
এর পরও তিনি আরও ১৯ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ আগস্ট তারিখে নিজের বাড়িতে পরলোকগমন করেন।
অন্যতম অবদানসমূহঃ
১. ১৭৮১ সালে গিয়ার,
১৭৮৮ সালে সেন্ট্রিফিউগাল (অপসরণশীল)
পাম্প এবং ১৭৯০ সালে
প্রেশার গজ (চাপ মাপক
যন্ত্র), কাউন্টার, ইন্ডিকেটর, থ্রটল, ভালভ্ ইত্যাদি
আবিষ্কার করেন।
২. আধুনিক স্টীম বা
বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কারক তিনি।
জীবিত থাকাকালীন সময়ে তাঁর এই
আবিষ্কার যতটুকু সফলতা অর্জন
করেছিল, তাঁর মৃত্যুর পর
বিজ্ঞানের জগতে ঘটে যায়
আশাতীত ঘটনা।
এই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে
জেমস ওয়াটের আবিষ্কৃত এই
বাষ্পের শক্তিকে ব্যবহার করে যানবাহন চালানোর
চিন্তা নিয়ে গবেষণা করেন
ফ্রান্সের নিকোলাস কুনো নামের এক
ইঞ্জিনিয়ার এবং এই শক্তিকে
কাজে লাগিয়ে তিনি ইঞ্জিন
তৈরি করেন।
সেই ইঞ্জিনের সাহায্যে গাড়ি নির্মাণ করেন।
Discussion about this post