নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমনে পুরো পৃথিবী আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেকটা থমকে গেছে উন্নয়নের চাকা। প্রায় ৫ মাস হলো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চিত অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে ক্লাসে যাবার অপেক্ষায় রয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস- ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৪ দশমিক ৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে যা ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ ভাগ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরলস প্রচেষ্ঠায় ‘সবার জন্য শিক্ষা’ এবং ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ’ সাফল্যজনকভাবে অর্জনের জন্য ২০১৪ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পদক প্রদান করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং দক্ষ মানব-সম্পদ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি। তিনি বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব শিক্ষাব্যবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক, সনাতনধর্মী, গতানুগতিক ও অর্ধশিক্ষায় শিক্ষিত মেরুদন্ডহীন মানুষ তৈরির পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে সরকারিকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির সোপান রচনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষসহ বিভিন্ন সহযোগী দাতা সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
পরে প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২০ এর দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
Discussion about this post