এই সংকটে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন যে কোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষা সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।”
কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত দিকগুলোর মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। এই ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার চিন্তাকে অনুসরণ করে আমরা শিক্ষায় ব্যাপক বিনিয়োগ করছি।
বলেন “বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত পাঠ্যবই বিতরণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,২০২০ এর প্রথম দিন বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৩০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। দুই কোটি ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত কন্যা শিশুদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। ২৬ হাজার ১৯৩টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬৮৫টি হাই স্কুলকে সরকারি করা হয়েছে। চার হাজার ৩৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় শিক্ষার উন্নয়নে নেওয়া অন্যান্য কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
Discussion about this post