নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি মাসেই অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি ট্রায়াল শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অক্টোবরে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি শুরু করার কথা রয়েছে। তার তার আগেই সফটওয়্যার ট্রায়াল শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ ।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সফটওয়্যার যাচাই ও শিক্ষক বদলির কিছু শর্ত নিয়ে কাজ করছে চলছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বৈঠক করবেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। নতুন কিছু বিষয় ইনস্টল করা হবে সফটওয়্যারে। তারপর চূড়ান্ত করেই এ মাসে ট্রায়াল শুরু হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘অধিদফতর কাজ করছে। অনলাইনে শিক্ষক বদলির বিষয়টি নিয়ে অধিদফতরের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করবো। ’
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘এ মাসেই ট্রায়াল শুরু করা সম্ভব হবে। আমরা জুন মাসেই অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করতে চেয়েছিলাম। করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। করোনার মধ্যেও কাজ করে এগিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই কাজে আরও একমাস সময় নষ্ট হয়ে গেছে। ‘
২০২০ সাল থেকে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কম সময়ে অনলাইন বদলি শুরু করতে না পারায় গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে হার্ড কপির আবেদনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তাও সম্ভব হয়নি। জরুরি বদলিও আটকে যায়।
এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক জানিয়েছিলেন, ‘ছুটির পর আমরা শিক্ষক বদলি কার্যক্রম (হার্ড কপিতে আবেদনের বিপরীতে) শুরু করবো। আর করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ছুটি দীর্ঘায়িত না হলে অনলাইনে বদলির ব্যবস্থা চূড়ান্ত হবে শিগগিরিই। তবে সরকারি ছুটি শেষ হলেও অধিদফতরের মহাপরিচালক করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ফলে পিছিয়ে যায় অনলাইন বদলি চূড়ান্ত করার কাজ। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সুস্থ হয়েই মহাপরিচালক অনলাইনে শিক্ষক বদলির সফটওয়্যার সংক্রান্ত কাজে হাত দেন।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিবছর এই বদলি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বদলির সময় অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।
এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ওই সময় জানিয়েছিলেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে ২০২০ সাল থেকেই অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
Discussion about this post