নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক শিক্ষক বদলিতে বিগত সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০২০ সাল থেকে অনলাইন শিক্ষক বদলির ঘোষণা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সফটওয়্যার নির্মাণে কাজ শুরুর ব্যবস্থা নেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি শিগগিরিই চালু হতে যাচ্ছে। চলতি মাসে সফটওয়ার ট্রায়াল শেষ হলেই চূড়ান্ত বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। অনলাইন এই বদলিতে সুবিধা পাবেন প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ ও তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা নারী শিক্ষকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্।
সফটওয়্যার প্রস্তুত হলে বিদ্যমান বদলি নীতিমালা অনুযায়ী সুবিধা বা অগ্রাধিকার পাবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ শিক্ষক ও তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা নারী শিক্ষকরা। এর আগে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ীও এসব শিক্ষকরা বিশেষ বিবেচনায় বদলির সুযোগ পেতেন।
এই বিষয়টি মাথায় রেখে সফটওয়্যারে এসব শিক্ষকদের সুযোগ উন্মুক্ত রাখতে নতুন করে এই বিষয়টি ইনস্টল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালাতেও সংশোধন আনা হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘সফটওয়্যারের কাজ জুনেই শেষ করার কথা ছিল। করোনার কারণে হয়নি। আমরা এ মাসেই ট্রায়াল শুরু করবো। যেসব শিক্ষক ডিজেবল, গুরুতর অসুস্থ এবং ডিভোর্স বা বিধবা হয়েছে এমন নারী শিক্ষকদের জন্য কাজ করছি। তারা যাতে সুবিধা পেতে পারেন সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নীতিমালায় এই বিষয়টি আনতে হবে। আমরা আগামী রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করবো। সফটওয়ার প্রস্তুত হয়ে গেলে সিনিয়র সচিব দেখবেন। তারপর ট্রায়াল করা হবে।’
মহাপরিচালক আরও জানান, সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি চালু হলে তদবির থাকবে না। বদলি নীতিমালা অনুযায়ী যারা বদলির যোগ্য হবেন তারাই আবেদন করতে পারবেন। বদলির নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ বদলি চাইলে অনলাইনে তারা আবেদন গৃহীত হবে না। দুর্নীতি করার কোনও সুযোগ থাকবে না। বদলি আবেদন অযথা দীর্ঘদিন আটকে রাখতে পারবেন না কোনও কর্মকর্তা।
অনলাইন বদলি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘আমরা এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষক বদলিতে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অনেকের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটোনোর অভিযোগ উঠে’। তিনি বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির বদলি নিশ্চিত হোক আমরা এটা চাই। সিস্টেমে যদি স্বচ্ছতা থাকে তাহলে সবার জন্যেই ভালো হবে।’
Discussion about this post