ক্রীড়া ডেস্ক
এই তো দিনকয়েক আগে, চ্যাম্পিয়নস লিগে কী দাপটই না দেখালো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। শিরোপা জিততে পারেনি, তবে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলেছে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে। সেই প্যারিস সেন্ত জার্মেই নতুন মৌসুমে বড্ড অচেনা! ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে হেরেছে টানা দুই ম্যাচ। ওই ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে জয়ে ফিরেছে তারা। ঘরের মাঠে মেসের বিপক্ষে ইনজুরি টাইমের গোলে জিতেছে তারা ১-০ ব্যবধানে।
একটু হলে আরেকটি হোঁচট খাচ্ছিল পিএসজি। এমনিতে নতুন মৌসুমে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে ছিল প্রচণ্ড চাপে, মেসের বিপক্ষে ড্র করে মাঠ ছাড়লে আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতো। তবে সেটি হতে দেননি জুলিয়ান ড্রাক্সলার। এই জার্মানের ইনজুরি টাইমের গোলে ২০২০-২১ মৌসুমে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে পিএসজি।করোনাভাইরাস, ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি প্যারিসের ক্লাবটিতে। অলিম্পিক মার্সেইয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে পিএসজির তিন খেলোয়াড় মাঠ ছেড়েছিলেন, যাদের একজন নেইমার। মেসের বিপক্ষে এদের কাউকে পাননি কোচ টুখেল। অবশ্য তিনি একাদশে ফিরিয়েছিলেন কেইলর নাভাস, মারকিনুস ও মাউরো ইকার্দিকে। এরপরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
একে গোল করতে পারছিল না, এর ওপর একসময় পিএসজিকে ৯ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে আবদু দিয়ালোর লাল কার্ড ও হুয়ান বের্নাত ইনজুরিতে মাঠ ছাড়লে। এরপরও ৯৩ মিনিটে প্যারিসের ক্লাবটি জয় নিশ্চিত করে ড্রাক্সলারের হেডে।
এতে টানা তিন ম্যাচ পর প্রথম গোলের দেখা পায় পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হারের পর ফরাসি লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচেও একই ব্যবধানে হেরেছে তারা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে প্র্রথম জয়ে লিগ টেবিলে এখন ১৫ নম্বরে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
Discussion about this post